সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: কয়লা পাচার (Coal scam) কাণ্ডের জট ছাড়াতে এবার কুখ্যাত ব্যবসায়ী লালা ওরফে অনুপ মাজির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পথে সিবিআই। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার (Purulia) নিতুরিয়ায় তার বাড়ি এবং অফিসে এই মর্মে সিবিআইয়ের নোটিস পৌঁছেছে বলে খবর। তাতে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লালা যদি সিবিআই দপ্তরে হাজিরা না দেয়, তাহলে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এদিকে, লালাকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে এদিন থেকেই পুরুলিয়া ও তার আশেপাশের এলাকা এমনকী আসানসোলেও পোস্টারিং শুরু হয়েছে।
এ রাজ্যে গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্ত শুরুর পর থেকেই সক্রিয়তা দেখিয়েছে সিবিআই (CBI)। দুই ক্ষেত্রেই কেলেঙ্কারির জাল এত দূর পর্যন্ত বিস্তৃত যে তা খুলতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। আসানসোল, দুর্গাপুর, পুরুলিয়ায় খনি অঞ্চলে কয়লা পাচারের নেপথ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের কাছে উঠে এসেছে লালা ওরফে অনুপ মাজির নাম। তার অঙ্গুলিহেলনেই রাজ্যে কয়লা পাচারচক্রের রমরমা বলে অভিযোগ। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা প্রথমেই লালাকে জালে এনে কেলেঙ্কারির কিনারা করতে চাইছেন।
[আরও পড়ুন: করোনা কালে কঠিন লড়াইয়ের পুরস্কার, ভাতা বাড়ল রাজ্যের পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের]
কিন্তু কোথায় লালা? তিন-তিনবার সিবিআইয়ের নোটিস সত্ত্বেও সে হাজিরা দেয়নি। ঘনিষ্ঠমহলে গুঞ্জন, লালা নাকি রাজ্যের বাইরে গা ঢাকা দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে জারি করা হয়েচে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও। তার খোঁজে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি সিবিআই লালার বিরুদ্ধে অন্যান্য অস্ত্র প্রয়োগের পথেও হাঁটছে। সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর মতো পদক্ষেপ গ্রহণ তারই একটা অংশ। সূত্রের খবর, নিতুরিয়ায় লালার বাড়ি এবং কার্যালয়ে নোটিস পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে লালা যদি সিবিআই দপ্তরে হাজিরা না দেয়, তাহলে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ আরও চাপে লালা ওরফে অনুপ মাজি। এখন তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, সেটাই এখন দেখার।