গোবিন্দ রায়: পাকিস্তানি নাগরিকদের আদৌ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (Indian Army) নিয়োগ করা হয়েছে কিনা, সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করবে সিবিআই (CBI)। এই মামলায় এফআইআর দায়েরে অনুমতিও দিয়েছে আদালত। কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) প্রাথমিক অনুসন্ধানের রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একাধিক বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে এই রিপোর্টে। ভুয়ো নথি ব্যবহার করে ভারতীয় সেনায় কোনও পাকিস্তানি নাগরিক যোগ দিয়েছে, সেরকম প্রমাণ এখনও পায়নি সিবিআই। তবে আশঙ্কা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতে সম্ভবত জাল নথি ব্যবহার করে নিয়োগ করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই।
কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে আবেদনকারীদের তরফে বলা হয়, পাকিস্তানি নাগরিককে নিয়োগ করা হয়েছে ভারতীয় সেনায়। দুই পাকিস্তানি নাগরিক এই মুহূর্তে বারাকপুরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে কাজ করছে বলে অভিযোগ তুলে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অবিলম্বে CID-কে অভিযোগ গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। গত মাসেই সিআইডির পাশাপাশি সিবিআইকে প্রাথমিক তদন্ত শুরুর অনুমতি দেন বিচারপতি মান্থা।
[আরও পড়ুন: ‘বেছে বেছে মুসলিমদের খুন কেন?’ ট্রেনে শুটআউটে ধৃত কনস্টেবলকে নিয়ে বিস্ফোরক IG, RPF]
প্রাথমিক তদন্ত শেষে সোমবার রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশে অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দেয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানেই একাধিক বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতে এমন কিছু নিয়োগের হদিস পেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ডমিসাইল সার্টিফিকেট-সহ নানা ভুয়ো নথিপত্র ব্যবহার করে আধা সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ হয়েছে বলেই জানতে পেরেছে সিবিআই। গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে কেন্দ্র সরকারি আধিকারিকদের যোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রাথমিক রিপোর্টে।
তবে আধা সামরিক বাহিনীতে ভুয়ো নিয়োগ হলেও সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনার প্রমাণ মেলেনি বলেই জানিয়েছে সিবিআই। তবে এবার পুরোমাত্রায় তদন্ত শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টে এই রিপোর্ট পেশের পরেই সিবিআইকে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ২ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।