অর্ণব আইচ: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় আরও তৎপর সিবিআই। এবার প্রেসিডেন্সি জেলের এক চিকিৎসককে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলের চিকিৎসককে। সিবিআই সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কিনা অথবা তাঁর কোনও চিকিৎসা হয়েছিল, সে বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর আগে প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা।
গত শুক্রবারই কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে সিবিআই জানায় প্রেসিডেন্সি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে। তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন বিচারপতি। আগামী ১৪ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিনই তদন্ত রিপোর্টও জমা দেওয়ার কথা সিবিআইয়ের। তার আগে প্রেসিডেন্সি জেলের চিকিৎসককে তলব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে গোঁজ প্রার্থী নিয়ে কড়া শাসকদল, অভিষেকের নির্দেশে ৫৬ নেতাকে সাসপেন্ড তৃণমূলের]
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে শহিদ মিনারে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভামঞ্চ থেকে তিনি দাবি করেন, মদন মিত্র, কুণাল ঘোষেদের দিয়ে একসময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জোর করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টা করেন। তার ঠিক দিনদুয়েক পর আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের গলায় শোনা যায় একই সুর। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। আইনি পদক্ষেপ নেন।
গত ১ এপ্রিল হেস্টিংস থানা এবং আলিপুর আদালতে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত আকারে জানান কুন্তল। তারই জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কুন্তল ঘোষ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরার কথা বলেছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। এই মামলায় এজলাস বদল হয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। বেঞ্চ বদল হয়েও বিশেষ লাভ হয়নি। গত ৮ মে এই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পার্টি করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা।