গোবিন্দ রায়: SSC নিয়োগে দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ফের অস্বস্তিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। আজই অর্থাৎ বুধবার সন্ধে ৬টার মধ্যে তাঁকে সিবিআই (CBI) অফিসে হাজিরা দিতে হবে। এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, এদিনই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সিঙ্গল বেঞ্চে ফিরিয়ে দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দ মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে সিবিআই হাজিরার নির্দেশ দিল আদালত। এর পরই পালটা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিকে এসএসসির গ্রুপ সি নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত সন্দীপ প্রসাদের করা মামলায়ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে এফআইআর করার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: চাকরি খোঁজা এখন আরও সহজ, আমূল বদলে যাচ্ছে রাজ্যের এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংক]
ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরই সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বারস্থ হন মামলাকারীর আইনজীবীরা। সেই সময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “সিবিআই এখনই ফের তদন্ত শুরু করবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি সহযোগিতা না করেন তাহলে তাঁকে হেফাজতেও নিতে পারবে সিবিআই। প্রশ্ন করা হবে ৯৮ জনকে।” বিচারপতি আরও জানান, “আমি মনে করি, মুক্ত ও স্বচ্ছ সমাজ গড়ার স্বার্থে পার্থ চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করবেন বা তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এটা আমার অনুরোধ।” একইসঙ্গে হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মনে করেন, “হেফাজতে নিয়ে জেরা ছাড়া এই দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হবে না।” তবে সিবিআই যেন আদালতের এই নির্দেশের দ্বারা প্রভাবিত না হয়, তাও মনে করিয়ে দেন বিচারপতি।
শুধু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নন, আজ বিকেল চারটের মধ্যে এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, শিল্পমন্ত্রীর ওএসডি প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেপুটি ডিরেক্টর অফ স্কুল অলোক সরকার, প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য এবং ল অফিসার তাপস পাঁজাকেও সিবিআই দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুটোয় সিবিআইকে রিপোর্ট দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার দুপুর একটার মধ্যে শান্তিপ্রসাদ ছাড়া সকলকে সম্পত্তি সংক্রান্ত হলফনামা জমা করতে হবে।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ নিয়ে তৃণমূলের তরফে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “কোনও ভুল থাকলে তা আদালত খুঁজে বের করতেই পারে। কিন্তু কাকে রাখা হবে, কাকে রাখা হবে না, তা একমাত্র রাজ্য সরকারই ঠিক করতে পারে।”