অর্ণব আইচ: এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতির গ্রুপ সি-র মামলায় এবার দুই অভিযুক্তকে জেলে গিয়ে জেরা করবে সিবিআই। প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিং নামে দুই অভিযুক্তকে আগেই সিবিআই নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল। গত সপ্তাহে যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিংহ-সহ সাত জনকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়, তখনই সিবিআই-এর পক্ষে আবেদন জানানো হয় যে, নবম-দশমের পর গ্রুপ সির নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এই দুজনকে জেরার প্রয়োজন।
প্রসন্ন ও প্রদীপের আইনজীবী সময় চান। মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য হয়। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে দুজনকে পেশ করা হয়। সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন, গ্রুপ সির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দুজনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে। সেগুলি যাচাই করার জন্য তাদের জেরার প্রয়োজন। অভিযুক্তদের আইনজীবী তার বিরোধিতা করে আবেদনে বলেন, ইতিমধ্যেই তারা অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে সিবিআই-এর হাতেই। তাদের জেরাও করা হয়েছে। তাই এই মামলায় নতুন করে জেরার প্রয়োজন নেই।
[আরও পড়ুন: সেনার কাজের প্রমাণ দরকার হয় না, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বিতর্কে দলের তরফে সাফাই রাহুলের]
দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক নির্দেশ দেন যে, সিবিআই প্রয়োজনমতো বিকেল তিনটে থেকে পাঁচটার মধ্যে জেলে গিয়ে প্রদীপ ও প্রসন্নকে জেরা করতে পারবে। এই ব্যাপারে জেল কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার নির্দেশে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগ মামলায় প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিংকে কমিশনের ভিত্তিতে টাকা তোলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই ধৃতদের জেরা করলে আর তথ্য মিলবে বলে জানিয়েছে সিবিআই।
শনিবার চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জনকে নিজাম প্যালেসের দপ্তরে তলব করে ৬ ঘণ্টা জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের সূত্র জানিয়েছে, তাঁকে গ্রুপ ডি নিয়োগের একটি মামলায় জেরা করা হয়। সিবিআইয়ের অভিযোগ, ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতির দালাল অভিযোগে ধৃত প্রসন্ন রায়কে জেরা করে তাঁর সঙ্গে যে রঞ্জনের যোগাযোগ রয়েছে, সেই তথ্য উঠে এসেছে।