সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বাদশ শ্রেণির ফিজিক্যাল এডুকেশন বইয়ে নারীশরীরের আদর্শ মাপ বিতর্কে প্রকাশকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন(সিবিএসই)। পাঠ্যবইয়ে নারীদেহের আদর্শ মাপ ৩৬-২৪-৩৬ হওয়া উচিত বলে ছাপা হয়েছিল। ওই ঘটনাকে ঘিরে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। গতকালই এই ঘটনায় প্রকাশকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী।
বইয়ের একটি অংশ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে ওঠে। প্রশ্ন উঠেছে, বোর্ডের সিলেবাসে যদি এ ধরনের বিষয় লেখা থাকে, তাহলে ছেলে-মেয়েদের কী শেখানো হবে। কোনও পাঠ্যবইয়ে কী করে এমন বিষয়ের উল্লেখ থাকতে পারে তা নিয়েও সমালোচনার ঝড় ওঠে। বোর্ড প্রথমে এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে এক বিবৃতি দিয়ে জানায়, সিবিএসই ওই বই ছাপানোর বরাত দেয়নি। বইটি প্রকাশিত হয়েছে নিউ সরস্বতী হাউস প্রাইভেট লিমিটেড, নয়াদিল্লি থেকে। বইটি লিখেছেন ভি কে শর্মা যিনি হরিয়ানার একটি কলেজের ফিজিকাল এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক। তবে সিবিএসই এমন কোনও বই স্কুলে পড়ানোর অনুমতি দেয় না বলেই দাবি করা হয়েছে বোর্ডের তরফে। কোনও পাঠ্যবই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতাও অবলম্বন করা হয় বলে বোর্ডের তরফে দাবি করা হয়েছে।
একজন মহিলা ও পুরুষের শরীরের যে গঠনগত পার্থক্য তা বোঝাতে গিয়েই এই মাপের উল্লেখ করা হয়। সেখানে একটি প্রশ্ন রয়েছে, মহিলাদের শরীরের ক্ষেত্রে কোন মাপটি সেরা। সেখানেই মেয়েদের বিভিন্ন গঠনের উল্লেখ করে সেরার তকমা দেওয়া হয়েছে ৩৬-২৪-৩৬ কে। এই বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি হিসাবে লেখা রয়েছে, মিস ইউনিভার্স বা মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের কথা। তাই কেউ যদি এমন ফিগার চান তাহলে তাকে নিয়মিত ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই প্রথমবার নয় অবশ্য। সপ্তাহখানেক আগেই এই বোর্ডের ক্লাস টুয়েলভের বায়োলজির প্রশ্নপত্র নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। প্রশ্ন করা হয়েছিল, পরিবেশ দূষণ রুখতে কবর দেওয়া না দাহ করা উচিত?
The post নারীশরীরের আদর্শ মাপ ইস্যুতে প্রকাশকের বিরুদ্ধে এফআইআর appeared first on Sangbad Pratidin.