সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ জোরদার হতেই ফের সেই পুরনো প্রশ্নটি সামনে এসেছে- করোনা সংক্রমণ কি জৈব যুদ্ধের অংশ? এই নিয়ে দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রচুর লেখালেখি শুরু হয়েছে। জৈব যুদ্ধের প্রসঙ্গ যখন উঠেছে, তখন ফের আঙুল চিনের দিকে। এহেন পরিস্থিতিতে ক্রমে জৈব যুদ্ধের আশঙ্কা যে বাড়ছে, সেই ইঙ্গিত দিলেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াত।
[আরও পড়ুন: ‘পরম বন্ধু’, মোদি-পুতিন বৈঠকে আরও মজবুত ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক]
করোনা মহামারীর আবহে বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে একত্রে বিপর্যয় মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘PANEX 21’। ডিসেম্বর মাসের ২০ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত পুণেতে চলবে এই মহড়া। অংশ নেবে বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও থাইল্যান্ড। এই মহড়ার মাধ্যমে দেশগুলির সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় সহযোগিতা বাড়িয়ে তোলা হবে।
মঙ্গলবার PANEX 21-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনার চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রওয়াত বলেন, “একটি নতুন ধরনের যুদ্ধের উপর আমি আলোকপাত করতে চাই। যদি জৈব যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে আমাদের উচিত দেশকে বিভিন্ন জীবাণু ও মহামারীর হাত থেকে রক্ষা করা।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে চিন, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া-সহ একাধিক দেশ জৈবিক ও রাসায়নিক হাতিয়ার তৈরি করছে। যুদ্ধক্ষেত্রে যে কোনও সময়ে ওই হাতিয়ার প্রয়োগ করতে পারে শত্রুপক্ষ। তাই এবার নিজেকে তৈরি করছে ভারত। আগেই যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের সুরক্ষায় আমেরিকা থেকে ৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অত্যাধুনিক পোশাক ও গ্যাস মাস্ক কিনেছে ভারত। ওই পোশাকগুলি সমস্ত রকমের জৈবিক ও রাসায়নিক হামলা রুখে দিতে সক্ষম।