জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর এবছরই প্রথম দুর্গাপুজো তৃণমূলের তারকা সাংসদ রচনা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের। অন্যবারের তুলনায়, এবারের পুজোতে কি কিছু স্পেশাল হবে? পুজো প্ল্যান নিয়ে কলম ধরলেন রচনা ।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়: এবার পুজোয়(Celebrity Der Durga Puja) নতুন বলতে, আমি এখন জনপ্রতিনিধি। তবে সাংসদ হয়েছি বলে লাইফে যে মারাত্মক কিছু চেঞ্জ এসেছে তা নয়। তবে হ্যাঁ, কর্মব্যস্ততা আগের থেকে আরও অনেক বেড়ে গিয়েছে। জীবনটা যেভাবে দেখতাম, সেটা আগের একটু বদলেছে। কারণ, এখন মানুষের কথা ভাবতে হচ্ছে, মানুষের জন্য কাজ করতে হচ্ছে, সেই অর্থে একটু পরিবর্তন হয়েছে জীবনটা। এছাড়া বেশি কিছু চেঞ্জ হয়নি। শুধু মাথার মধ্যে একটা চিন্তা সব সময়ই ঘোরে, মানুষের জন্য ভালো কাজ করতে হবে। যখনই সময় পাই, তখনই প্ল্যান করি, হুগলি যাওয়ার। হুগলি গিয়ে ভালো ভালো কাজ করার।
পুজোর সময় আমি যে খুব একটা ঘুরে বেড়াই, সাংঘাতিক প্যান্ডেল হপিং করি তা নয়। এসবের খুব একটা শখ নেই। পুজোর চার পাঁচটা দিন বরং একটু বিশ্রাম নিতেই ভালোবাসি। আগে তবুও একটু আধটু ফ্রি টাইম পেলে প্যান্ডেলে গিয়ে বসতাম। আড্ডা দিতাম। এখন সেই সময়টাও পাই না। এখন আমি মুখিয়ে বসে আছি, যে কখন ওই পাঁচটা দিন আসবে,একটু ভালো করে ঘুমাবো। বিশ্রাম নেব। এবারের পুজোটায় একেবারে বিশ্রামে থাকব। গত তিনচার মাস কাজে খুবই ব্যস্ত ছিলাম। তাছাড়াও আমার ঘুরে বেড়ানোটা একটা নেশা। তাই পুজোর আগে আমার জন্মদিনের সময়টায় ভিয়েতনাম যাচ্ছি। তবে পুজোর একদম আগেই কলকাতা ফিরে আসব। ফিরে এসে হুগলিতে যাব। আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমার জেলাটা। সেখানকার মানুষরা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ষষ্ঠীর দিন তাঁদের সঙ্গে কাটাব। অবশ্য বাদ বাকি দিন বাড়িতেই থাকব। যেহেতু আমাদের আবাসনে পুজো হয়, সেখানে ভোগ খেতে যাব। তার পর বাড়িতে বসেই যে সমস্ত সিরিজ, সিনেমা, পেন্ডিং আছে সেগুলো দেখব বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দেব। বিজয়া দশমীর সময়, বিজয়া করতে হুগলিতে যাব। এবারের পুজোটা আমার হুগলী আর বাড়ির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এবারের আনন্দটা অন্যরকমের। আমার কেন্দ্রের মানুষদের সঙ্গে পুজো কাটাব। আর সুযোগ পেলেই বিশ্রাম নেব।
পুজোর সময় ছোটবেলার কথাও খুব মনে পড়ে। সেটা হয়তো সবার হয়। আমার ছোটবেলার পুজো বলতেই গড়িয়াহাটের বাড়ি। সেই সময়টা আমার জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মনে থাকবে। কোনও চিন্তা ছিল না। কোনও ভাবনা ছিল না। মা-বাবার উপর নির্ভর করে থাকা। খুবই ভালো স্মৃতি। যা সব সময়ই মনে থেকে যায়। কিন্তু সে তো অতীত। তাই অতীত নিয়ে খুব একটা বেশি ভাবতে ভালো লাগে না। ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনা এখন আমার। আর মা দুর্গার কাছে চাইব সবাই যেন ভালো থাকেন। সবাই যেন সুস্থ থাকেন। চারিদিকে যে খারাপ আবহাওয়া চলছে, সেই খারাপ আবহাওয়া যেন তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যায়। মানুষের জন্য সুবুদ্ধি ফিরে আসে। মানুষ যেন ভালো কথা বলে, গালাগালিটা যেন কম দেয়। একে অপরের জন্য যেন মানুষের ভালো চিন্তা ভাবনা থাকে। একে অপরের ক্ষতি যেন কেউ না চায়। মানুষ মানুষের জন্য। আমি মনে করি, কাউকে গালাগালি দিয়ে তো মানুষ বড় হতে পারে না। সবাই ভালো থাকুক। সবাই আনন্দে থাকুক। চারিদিকে পজিটিভ আবহাওয়া তৈরি হোক।