সংবাদ প্রতিদিন ডিডিটাল ডেস্ক: আবারও পিছিয়ে গেল আদমশুমারি। আপাতত ঠিক হয়েছে, ২০২৪-‘২৫ বর্ষে দেশের সার্বিক জনগণনার লক্ষ্য়মাত্রা স্থির করা হয়েছে। তবে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।
দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই মর্মে চিঠি দেওয়া হয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (Registrar General of India) তরফে। প্রশাসনিক সীমানা-সহ একাধিক বিষয়ে পুনর্বিন্যাসের সময়সীমাও বাড়িয়ে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। আর এ থেকেই কার্যত স্পষ্ট যে চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে জনগণনার সম্ভাবনা নেই।
[আরও পড়ুন: আচমকাই ‘নাটক’! মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অজিত পওয়ার]
রীতি অনুযায়ী, প্রতি ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি হয়ে থাকে। কিন্তু ২০১১-র করোনা অতিমারীর জেরে ২০২১ সালে জনগণনা হয়নি। শোনা গিয়েছিল, ২০২৩ সালে জনগণনা হতে পারে। তবে এবার তা আরও পিছিয়ে গেল বলেই খবর। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, এহেন সিদ্ধান্ত ইতিবাচক নয়। আদমশুমারির সঙ্গে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকে জুড়ে দেওয়াই লক্ষ্য মোদি সরকারের বলে মনে করা হচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগ, ‘বিশেষ’ জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে তাঁদের তালিকাচ্যুত করতে চাইছে কেন্দ্র। তাই জাতীয় জনগণনা রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
১৮৭২ সালে শুরু হওয়া আদমশুমারি রীতি মেনে প্রতি প্রতি ১০ বছর অন্তর হয়। কিন্তু মোদি সরকার আসার পর এখনও পর্যন্ত জনগণনা হয়নি। আর এতেই রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা।