সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনিতেই করোনার (COVID-19) প্রভাবে সাধারণ মানুষের রোজগার কমেছে। তারই মধ্যে দুই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি রান্নাঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। পিঁয়াজের (Onion) দামের ঝাঁঝে উৎসবের মরশুমেই চোখে জল আসার উপক্রম সাধারণ মানুষের। সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে আলুর (Potato) দামও। এনিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভেরও সঞ্চার হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে এবার পিঁয়াজ ও আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী কেন্দ্র।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ক্রেতা বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal) সাংবাদিক বৈঠকে জানান, আলু-পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্র বেশ কিছু পদক্ষেপ করছে। পাশাপাশি ডাল ও ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। বিদেশ থেকে পিঁয়াজ আমদানি করা, রাজ্যগুলিকে বাফার স্টক থেকে পিঁয়াজ সরবরাহের মতো পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে গোয়েল জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যেই বেসরকারি সংস্থাগুলির উদ্যোগে সাত হাজার টন পিঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। দিওয়ালির আগেই আরও পঁচিশ হাজার টন পিঁয়াজও চলে আসার কথা। রাজ্যগুলিকে বাফার স্টক থেকে পিঁয়াজ দেওয়া হবে। কিষান রেলের মাধ্যমে সারা দেশে পিঁয়াজ পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হবে। পিঁয়াজ মজুতের ক্ষেত্রেও সরকারের তরফ থেকে সীমা নির্দিষ্ট করা হয়েছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, বাজারে নতুন পিঁয়াজ আসলে দাম কমবে।
[আরও পড়ুন: সফর বাতিল নাড্ডার, নির্বাচনের ডঙ্কা বাজিয়ে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ]
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেছেন গোয়েল। তিনি বলেছেন, “বর্তমানে আলু ৪২ টাকা কেজি। সরকার আলু আমদানিরও ব্যবস্থা করেছে। ৩০ হাজার টন আলু দিন কয়েকের মধ্যেই ভুটান থেকে চলে আসবে। আলুর দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে তার জন্য সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টন আলু আমদানি করা হবে।” পাশাপাশি ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে দাম সামান্যই বাড়ায়, সেখানেও সরকারি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন বলে দাবি করেন তিনি।
গতমাসেই কেন্দ্র ‘অত্যাবশকীয় পণ্য আইন’ সংশোধন করায় নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছে আলু, পিঁয়াজ, চাল, ডাল, তেল। তার পর থেকেই পিঁয়াজ এবং আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বিরোধী শিবির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। বিহারে নির্বাচনী প্রচারেও এই ইস্যুকে হাতিয়ার করছে বিরোধীরা। সব দিক বিবেচনা করেই কেন্দ্রীয় সরকার এবিষয়ে মুখ খুলল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।