রাহুল রায়: কল্যাণী এইমসের (Kalyani AIIMS) বিরুদ্ধে একাধিক বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ পেয়ে তার তদন্তে নেমেছিল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। সন্দেহভাজনদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন বিজেপির কয়েকজন জনপ্রতিনিধিও। কিন্তু সিআইডি-র এই তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়েই সতর্ক করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। বিচারপতিরা জানালেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে এ ধরনের তদন্ত করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি প্রয়োজন। অনুমতি না মিললে তদন্ত করা যাবে না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ আগস্ট।
সোমবার কল্যাণী AIIMS এ বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলাটি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে ওঠে। তাতেই ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী, কোনও কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে সিআইডি-কে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই মর্মে সিআইডি-কে সতর্ক করা হয়েছে। ফলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালানোর ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে প্রতিবন্ধকতা মুখে সিআইডি (CID)।
[আরও পড়ুন: মহিলা ইন্টার্নকে হেনস্তার অভিযোগ রোগীদের বিরুদ্ধে, চিকিৎসা বন্ধ করে প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা]
এর আগের শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবী অভিযোগ করেছিলেন, কল্যাণী এইমসের নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়াই তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। এমনকী জনপ্রতিনিধিদের ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই মামলার তদন্তে কেন্দ্রের অনুমতি প্রয়োজন সিআইডির? তা ব্যাখ্যা করেন বিচারপতিরা। সিআইডিকে জানানো হয়, দুর্নীতি দমন আইনের নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও সংস্থার কর্মী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করা যায় না। যেহেতু কল্যাণী এইমস সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থা, তাই তদন্তের জন্য কেন্দ্রের অনুমতি প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন: প্রোমোটিং বিবাদে নারকেলডাঙায় অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি, গুরুতর অসুস্থ বধূ]
এদিকে, সিআইডির তরফে শুনানি করা সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে তাঁর আরজি, ”কোনও সিনিয়র আইনজীবীকে এখানে নিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছি।” AIIMS এ বেআইনি নিয়োগের অভিযোগের তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার দাবিতে দায়ের হাওয়া এই মামলার শুনানি ফের ২৪ আগস্ট।