গোবিন্দ রায়: রামনবমীর অশান্তি মামলার তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রয়োজন। পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কে বা কারা এই অশান্তিতে উসকানি দিয়েছে বা লাভবান হয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রয়োজন। তদন্তভার নিতে প্রস্তুত বলেও আদালতে জানিয়েছে NIA।
রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় রিষড়া, শিবপুর। এই অশান্তি এনআইএ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশি রিপোর্ট জমা পড়েছে আদালতে। তা দেখে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, পুলিশি রিপোর্টে স্পষ্ট যে ব্যাপক অশান্তি হয়েছে। বোমাবাজি, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়া এবং অশান্তির ঘটনা সাধারণ মানুষকে উদ্বিগ্ন করে। এরপরই তাঁদের পর্যবেক্ষণ, তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রয়োজন। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে বিচারপতির প্রশ্ন, বছরের পর বছর একই ঘটনা ঘটছে। মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। কীভাবে এর মোকাবিলা করা যাবে?
[আরও পড়ুন: বেহালায় চুড়িদারের দোকানে মিলল প্রচুর OMR শিট! সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির]
শুধু তাই নয়, ছাদে পাথর জড়ো করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। তাঁর কথায়, “ছাদ থেকে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ওই সময়ে এত পাথর কীভাবে ছাদে এল? ঘটনার সময় ১০ মিনিটের মধ্যে তো এত পাথর ছাদে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।” এধরনের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েন রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল।
শুধু রামনবমী নয়, হনুমানজয়ন্তী নিয়ে রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য। তাতে জানানো হয়েছে, হনুমানজয়ন্তীর মিছিল শান্তিপূর্ণ ছিল। হুগলির গ্রামীণ অঞ্চলের একটি শোভাযাত্রা রুট সংক্রান্ত নির্দেশিকা সামান্য অমান্য করেছিল। বাকি কোথাও কোনও অসুবিধা হয়নি। তিন কোম্পানি সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছিল।