রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Bandhopadhyay) বদলির নির্দেশের জল গড়িয়েছে অনেকদূর। মুখ্যসচিবের বদলি রুখতে প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। এবিষয়ে বেশ সাবধানী বিজেপি। তাই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ, আলাপন ইস্যুতে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না রাজ্যের নেতারা। সেই তালিকায় রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh)।
বিজেপির (BJP) এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে কারণ। যশ বা ইয়াসের (Yaas) বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর যোগ না দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচুর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এই আচরণের বিরোধিতা করেছে বিজেপি (BJP)। সাংবাদিক বৈঠক থেকে তার পালটা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। সাফ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) অনুমতি নিয়েই কলাইকুন্ডা ছেড়েছিলেন তিনি। তবে তা সত্ত্বেও সমালোচনা থামেনি। একইভাবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ নিয়ে নানারকম আলোচনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে এবিষয়ে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির নেতারা বেফাঁস মন্তব্য করলে অস্বস্তি বাড়তে পারে দলের। বাড়তে পারে জটিলতা। সেই দিক বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে চিঠিতে রাজ্য নেতৃত্বকে এবিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। অন্তত ৩১ মে পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না রাজ্যের নেতারা।
[আরও পড়ুন: করোনা কালে নয়া আতঙ্ক, আলিপুরদুয়ারে জারি আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের সতর্কতা]
উল্লেখ্য, শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মুখ্যসচিবের বদলি নিয়ে কেন্দ্র ইতিমধ্যে আদালতে ক্যাভিয়েট করে রেখেছে। তবে মতান্তর হলে রাজ্য বা কেন্দ্র কিংবা সংশ্লিষ্ট আধিকারিক সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির সাম্প্রতিকতম সংঘাতকে নতুন মোড় দেওয়ার লক্ষ্যেই কেন্দ্রের এই বদলির নির্দেশ বলে মনে করছেন অনেকে। এই অবস্থায় জল্পনা জোরদার, আলাপন দিল্লি যাচ্ছেন না। বরং সোমবার তিনি নবান্নে (Nabanna) নির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। যদিও শেষমেশ কী হয়, তা স্পষ্ট হবে আগামিকাল।