shono
Advertisement

চন্দ্রযানের যুগেও খাটা পায়খানা, মেথর প্রথা! উদ্বেগের ছবি কেন্দ্রেরই ‘স্বচ্ছতা অভিযান’ অ্যাপে

মোবাইল অ্যাপে ৬,২৫৩টি এমন ঘটনা শনাক্ত হয়েছে।
Posted: 12:07 PM Jul 31, 2023Updated: 12:12 PM Jul 31, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের মোদি সরকারের স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকল্পের সাফল্যের প্রচার কিংবা অত‌্যাধুনিক মহাকাশ প্রযুক্তির যুগেও এক ভয়াবহ ছবি উঠে এল। কেন্দ্রের সামাজিক ন‌্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের ‘স্বচ্ছতা অভিযান’ মোবাইল অ‌্যাপ (Swachhata Abhiyan App) দেশে খাটা পায়খানা ও মানুষের মল মানুষ দ্বারা অপসারণের (ম‌্যানুয়াল স্ক‌্যাভেঞ্জার, চলতি কথায় মেথর) মতো ৬,২৫৩টি ঘটনা শনাক্ত করেছে। তবে সংখ‌্যাটি সঠিক কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় মন্ত্রক।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দাখিলের জন‌্য মন্ত্রকের তরফে তৈরি একটি হলফনামায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর মন্ত্রক এখটি মোবাইল অ‌্যাপ চালু করে। দেশের কোথাও এখনও খাটা পায়খানা রয়েছে কিনা, বা সেগুলি এখনও মানুষ দ্বারাই সাফ হয় কি না, তা যে কেউ এই অ‌্যাপের মাধ‌্যমে জানাতে পারেন। এরপর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তথ্য যাচাই করা হবে। সরাসরি সমীক্ষা একদিকে যেমন সময়সাপেক্ষ, তেমনই খরচও প্রচুর। সে কারণেই এই অ‌্যাপের মাধ‌্যমে তথ‌্য পাওয়া উদ্দেশ‌্য ছিল মন্ত্রকের।

[আরও পড়ুন: ‘বেছে বেছে মুসলিমদের খুন কেন?’ ট্রেনে শুটআউটে ধৃত কনস্টেবলকে নিয়ে বিস্ফোরক IG, RPF]

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ‌্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, “অ্যাপটিতে সংগৃহীত তথ্যে দেখা গিয়েছে মোট ৬,২৫৩টি ম‌্যানুয়াল স্ক‌্যাভেঞ্জারের ঘটনা সামনে এসেছে। এই তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রকের প্রোগ্রাম মনিটরিং ইউনিট (পিএমইউ) টিম দ্বারা একটি সরেজমিনে যাচাই করা হয়েছিল। তবে, এখনও পর্যন্ত একটিও খাটা পায়খানা নিশ্চিত করা যায়নি।” মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় মনিটরিং কমিটির অষ্টম বৈঠকে বলা হয়েছে যে, মোবাইল অ্যাপে আপলোড করা বেশিরভাগ ডেটা পিএমইউ দ্বারা যাচাই করা হয়েছে এবং তাদের কোনওটিই সঠিক বলে পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে জেলাগুলিতে ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিংয়ের অবস্থা পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আজ, সোমবার একটি বৈঠক হওয়ার কথা।

[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে মণিপুরের দুই নির্যাতিতা, ভাইরাল ভিডিওর শুনানি প্রধান বিচারপতির এজলাসে]

সংসদে ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জার হিসাবে নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা এবং তাদের পুনর্বাসন আইন, ২০১৩ পাস করে ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং বন্ধ করার এক দশক পরও মন্ত্রক এখনও তাদের চিহ্নিত করার জন্য কাজ করছে। আইনের ২(১)(জি) ধারায় ‘ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং’কে ‘খাটা পায়খানা থেকে মানুষের মলমূত্র উত্তোলন’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। আইনটি কার্যকরের সাত মাস পরে সুপ্রিম কোর্ট, ২০১৪ সালের মার্চে এই কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন এবং তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য রাজ্যের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছিল। ন্যাশনাল সাফাই কর্মচারী ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (এনএসকেএফডিসি)-এর তথ‌্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশে ৫৮,০৯৮ জন ম্যানুয়াল স্ক‌্যাভেঞ্জার চিহ্নিত করা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement