সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অহিন্দুদেরও তফসিলি জাতির (Schedule Cast) মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে একধাপ এগোল কেন্দ্র। অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়ার দাবিগুলি পরীক্ষা করে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রাক্তন বিচারপতি কে জি বালকৃষ্ণানের (KG Balakrishnan) নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)।
ওই কমিশনে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস আধিকারিক ড. রবিন্দরকুমার জৈন এবং ইউজিসি-র (UGC) সদস্য অধ্যাপক সুষমা যাদব রয়েছেন। দু’বছরের মধ্যে কমিশন তার রিপোর্ট মন্ত্রকের কাছে জমা দেবে। বর্তমানে রাষ্ট্রপতির আদেশনামা অনুযায়ী, শুধুমাত্র হিন্দু (Hindu), বৌদ্ধ (Buddhist) ও সিকিমিজদেরই তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়া হয়। কমিশন নতুন ব্যক্তিদের জন্য তফসিলি জাতি (SC) মর্যাদার বিষয়টি পরীক্ষা করবে, যারা ঐতিহাসিকভাবে তফসিলি জাতির অন্তর্গত বলে দাবি করে, কিন্তু অনুচ্ছেদ ৩৪১-এর অধীনে সময়ে সময়ে জারি করা রাষ্ট্রপতির আদেশে উল্লিখিত ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্ম গ্রহণ করেছে।
[আরও পড়ুন: ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা, বাড়িতে ডেকে নাবালিকাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল অভিযুক্তর মা]
তফসিলি জাতির ব্যক্তিরা তাদের প্রথা, ঐতিহ্য, সামাজিক এবং অন্যান্য মর্যাদার বৈষম্য এবং বঞ্চনার পরিপ্রেক্ষিতে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার সময় যে পরিবর্তনগুলি ঘটিয়েছে তাদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়ার প্রশ্নে এর প্রভাবও পরীক্ষা করবে কমিশন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সামাজিক বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
[আরও পড়ুন: ঠাকরে ও শিন্ডের দ্বন্দ্ব, শিব সেনার প্রতীক ‘ফ্রিজ’ করে দিল নির্বাচন কমিশন]
একদিকে যখন ধর্মান্তরিতদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দিতে কমিশন ঘঠন করছে কেন্দ্র, অন্যদিকে তখন ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন প্রণয়নের দাবিতে সোচ্চা গেরুয়া শিবিরের একাংশ।যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি, হিন্দুত্বের জিগির তুলে হিন্দু ভোট বিজেপির (BJP ঝুলিতে টানতেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishwa Hindu Parishad) মতো উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন আনতে কেন্দ্রর উপর চাপ তৈরি করছে। ইতিমধ্যে এই আইন আনার বিষয়ে বেশ কয়েকটি রাজ্য অনেকটাই এগিয়েও গিয়েছে। পাশাপাশি দেশজুড়ে ক্রিস্টান মিশনারিগুলির (Christian Missionaries) বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদীরা অভিযোগ তুলছেন, তারা জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ করছেন বলে অভিযোগ।