সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, 'বাংলা আজ যা ভাবে, ভারত ভাবে আগামিকাল'। ফের তা প্রমাণিত। আগেই শুরু হয়েছিল রাজ্যে। এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব ডা. অতুল গোয়েল পশ্চিমবঙ্গ-সহ সব রাজ্যকে একটি করে পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার করার প্রস্তাব দিয়েছেন। বাংলার যে কোনও দুটি মেডিক্যাল কলেজ অথবা হাসপাতালে এই পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। যাতে সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত অ্যান্টি ভেনম ইনজেকশন দেওয়া যায়।
ঘটনা হল, খাস কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০১৮ সালেই রাজ্যস্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পূর্বতন কলেজ কর্তৃপক্ষ যে কোনও কারণেই হোক বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব না দেওয়ায় গোটা প্রকল্প থমকে গিয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের চিঠি ঘিরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের পয়জন ইনফরমেশন সেন্টারকে নতুন করে গড়ে তোলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যান্টি ভেনমের বিশেষ কিছু মৌলিক চরিত্র রয়েছে। যে রাজ্যের সাপ সেই রাজ্যের আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে যতটা কার্যকর, ভিনরাজ্যের ক্ষেত্রে ততটা হয় না অনেক ক্ষেত্রে। তাই প্রতিটি রাজ্যে যেমন পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ঠিক তেমনই বাংলার কাছে এ ভিএস তৈরির অনুমোদন চেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, একটা সময় এই বাঙালি ওষুধ উৎপাদক সংস্থা এ ভি এস তৈরি করত। কিন্তু পরিকাঠামো এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে ঘাটতির জন্য সাপের বিষের ওষুধ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফের শুরু করার জন্য জায়গা থাকলেও ঘোড়ার হাসপাতাল এবং বিভিন্ন জাতের সাপ রাখার জন্য জায়গা দরকার। সূত্রের খবর, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করতে নেমে পড়বে বেঙ্গল কেমিক্যাল।