রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাইরে তৃণমূলকে (TMC) আক্রমণ করলেও দলের সাংগঠনিক বৈঠকে জেলা নেতাদের কড়া ধমক দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। বাংলায় নিজের দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে অসন্তুষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জেলার নেতারা বুথস্তরে কেন পৌঁছাচ্ছেন না তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। বুথ থেকে ব্লকস্তরে সংগঠন নেই। শুধু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সব উতরে দেবে তা হয় না। সাংগঠনিক বৈঠকে জেলা নেতাদের এমনটা স্মরন করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ভাল ফল না দিলে বিজেপিরই (BJP) বদনাম হচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি। রাজ্যে দলীয় প্রবাস কমর্সূচিতে এসেছেন বিজেপির এই শীর্ষ নেতা। শুক্রবার উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে। সেখানে তিনি বলেন, নিচুস্তরে দলের সংগঠন মজবুত করতেই হবে।
[আরও পড়ুন: বিড়াল কামড়েছিল মাকে, ভ্যাকসিন পেল দুধের সন্তান! সরকারি হাসপাতালে বেনজির ‘গাফিলতি’]
কিন্তু নেতারা কেন বুথ ও শক্তিকেন্দ্রে ঠিকমতো যাচ্ছেন না, খামতি কোথায় রয়েছে, তা জানতে চান ধর্মেন্দ্র প্রধান। একমাসের মধ্যে আবার এসে সংগঠনের কাজের অগ্রগতি কতটা হল তার রিপোর্ট নেবেন বলেও জানিয়ে দেন। এদিন দায়িত্বে থাকা দমদম, যাদবপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা এলাকার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী।
এদিকে, সল্টলেকে ইজেডসিসি’তে (EZCC) দলের তরফে আয়োজিত দুর্গাপুজো ও সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোতেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ধর্মেন্দ্র প্রধানকে। এই দু’টি পুজোতেই উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। বিশেষ ‘চমক’ থাকছে এই পুজোয়। এবার পুজো করবেন সুলতা মণ্ডল নামে এক মহিলা। তাঁকেই পুজোর প্রধান পুরোহিতের ভূমিকায় দেখা যাবে। এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মত, দেশের সংবিধান রক্ষায় যখন একজন আদিবাসী মহিলার উপর মানুষ ভরসা রাখতে পারেন, তখন সুলতা পুরোহিতের দায়িত্ব সামলাবেন এতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই।