সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে দ্বিতীয়বার প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণ দেবী চিঠিতে পালটা রাজ্যের দিকেই আঙুল তুলেছেন।
দ্বিতীয় চিঠিতে মমতার দাবি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটছে, সেগুলি রুখতে অবিলম্বে কঠোরতম আইন আনতে হবে। এর পালটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, দেশের নারী নির্যাতন নিয়ন্ত্রণে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় যে বিধান রয়েছে তা যথেষ্ট কঠোর। রাজ্য সরকারকে সেই আইন কার্যকর করতে হবে। এর পাশাপাশি রাজ্য় সরকারের বেশ কিছু বিষয় চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন মমতা, এমনই অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী।
[আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের বিক্ষোভে সিভিক ভলান্টিয়ারের বাইকের ধাক্কা, প্রতিবাদে বি টি রোড অবরোধ]
তাঁর অভিযোগ, "বাংলায় ধর্ষণ ও পকসো মামলার জন্য ১১টি অতিরিক্ত ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট আছে ৷ সেগুলিকে রাজ্য সরকার কাজে লাগাচ্ছে না। বাংলায় ৪৮ হাজার ৬০০টি ধর্ষণ এবং পকসো মামলা বিচারাধীন । প্রয়োজনে ১১টি অতিরিক্ত ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্টকে সচল করে কাজে লাগাতে পারে রাজ্য, কিন্তু তা করেনি ।" কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাফ অভিযোগ, চিঠিতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছে। যা দেখে মনে হচ্ছে, রাজ্যের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টগুলি কাজে লাগাতে না পারার বিষয়টিকেই চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।"
প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ছিল, “দেশে রোজ প্রায় ৯০ টি এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় ইতি টানা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এসব ঘটনাকে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করা দরকার। আমার প্রস্তাব, দেশের প্রতিটি জায়গায় ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট (Fast Track Court) তৈরি করা হোক। তার মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি ত্বরান্বিত হোক।” মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সেই চিঠি লিখলেও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কোনও উত্তর পাননি তিনি।