ধীমান রায়, কাটোয়া: বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা (Guskara) পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে। জেল মুক্তির পর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেলেন সেই নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনাতে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার বিজেপি (BJP) নেতার গুসকরার বাসভবনে পাঠানো হয় চারজন আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান-সহ ৫ জনকে। তবে তিনি নিজে নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছিলেন কিনা সে প্রশ্ন এড়িয়ে যান নিত্যানন্দবাবু। নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি জানি না কেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রদপ্তর থেকে আমাকে নিরাপত্তা দেওয়া হল। তবে আমি দলেরপ্রতি কৃতজ্ঞ। দল আমাকে যখন যেখানে যেতে বলবে সেখানে গিয়ে দায়িত্ব পালন করবো।”
[আরও পড়ুন: বাংলায় আট দফায় নির্বাচন, কোন দফায় কোন জেলায় ভোট? দেখে নিন একনজরে]
এদিন নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুরনো দল সম্পর্কে বলেন, “আমি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে ওই দলে ছিলাম। গুসকরায় দলের সংগঠনকে মজবুত করেছিলাম। তার প্রতিদান পেয়ে গিয়েছি। আমার ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে তৃণমূলের একনেতা। আবার আমাকে ১৩ দিন জেল খাটিয়েছে। এখন আমার লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাত করা।”
সম্পন্ন ব্যবসায়ী নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে। নিত্যানন্দবাবুর দুটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও একটি দোনলা বন্দুক বাজেয়াপ্ত করা হয়। গত ডিসেম্বর মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এদিন থেকে তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা।