সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে হুঁশিয়ারি আগেই ছিল। এবার দেশের ১১টি রাজ্যে সেরোটাইপ-২ ডেঙ্গুর (Serotype-2 Dengue) প্রকোপ নিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্র। কীভাবে এই সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাবে তার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা উত্তরপ্রদেশে। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত ২৫০-রও বেশি রোগীকে ভর্তি করা হল উত্তরপ্রদেশের কানপুর হাসপাতালে। এদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন শিশুও আছে। এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেড় হাজারেরও বেশি ডেঙ্গু ও ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হওয়া রোগীর খোঁজ মিলেছে।
কেন্দ্রের দাবি, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, কর্নাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, রাজস্থান, তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যগুলিতে সেরোটাইপ-২ ডেঙ্গুতে আক্রান্তের ঘটনা বেশি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে জানান, রাজ্যে এমন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে যাতে দ্রুত ডেঙ্গুর শনাক্তকরণ হয়। জ্বরে আক্রান্তদের সাহায্য করার জন্য হেল্পলাইন তৈরি করতে হবে। এছাড়া যথেষ্ট পরিমাণে টেস্ট কিট, লার্ভিসাইডস ও ওষুধের জোগান রাখতে হবে। পাশাপাশি ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিকে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত, রক্তের নানা উপাদান (বিশেষ করে প্লেটলেট) মজুত রাখারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: ফের জঙ্গিদের নিশানায় উরি! নিয়ন্ত্রণরেখায় ‘সন্দেহজনক’ গতিবিধি নজরে আসতেই অভিযান সেনার]
কানপুরের গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থী মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সঞ্জয় কালা বলেন, “বর্তমানে হাসপাতালে ২৫০-রও বেশি ভাইরাল জ্বর, ২৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে। এদের মধ্যে রয়েছে দশটি শিশুও। এছাড়াও ম্যালেরিয়া আক্রান্তও আছে।”
অন্যদিকে কানপুরের লালা লাজপত রাই হাসপাতালেও অন্তত ২০টি শিশু ভাইরাল জ্বর নিয়ে ভর্তি। তাদের মধ্যে একটি শিশুর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। উন্নাওয়ে ৬৭৮ জন ভাইরাল জ্বর ও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ফিরোজাবাদে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ দিন দিন প্রকোপ বেড়েই চলেছে। আর তাই ১১টি রাজ্যকে সতর্কবার্তা দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।