সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালি ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় নাম জড়িয়ে সিন্ধু সভ্যতার সঙ্গে। ১৯২২ সালে হরপ্পার দোসর মহেঞ্জোদাড়ো পুনরাবিষ্কার করেন তিনি। যদিও শতবর্ষ পরেও সিন্ধু সভ্যতার লিপির সম্মক পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি। রবিবার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন গবেষক উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন। ঘোষণা করলেন, যিনি সিন্ধু লিপির পাঠোদ্ধার করতে পারবেন, তাঁকে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে।
পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতার মধ্যে রয়েছে মেসোপটেমিয়া, সুমেরীয়, মিশরীয় এবং সিন্ধু সভ্যতা। এদিন সিন্ধু সভ্যতার শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত তিনদিন ব্যাপি একটি আন্তর্জাতিক সমাবেশের উদ্বোধন করেন স্ট্যালিন। সেখানেই তিনি বলেন, "এককালের উন্নত সিন্ধু সভ্যতা লিপি এখনও অস্পষ্ট আমাদের কাছে।" এরপরই গবেষকদের উৎসাহ দানে দশ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, সিন্ধু সভ্য়তাকে ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা হিসেব ধরা হয়। গবেষকদের দাবি, এর সময়কাল ৩৩০০–১৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। কারও কারও মতে ২৬০০ – ১৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। প্রথম দিকে এই সভ্যতা পাঞ্জাব অঞ্চলের সিন্ধু অববাহিকায় বিকাশ লাভ করে। পরে তা প্রসারিত হয় ঘগ্গর-হকরা নদী উপত্যকা ও গঙ্গা-যমুনা দোয়াব অঞ্চল পর্যন্ত। বর্তমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রায় সম্পূর্ণ অংশ, ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের পশ্চিমদিকের রাজ্যগুলি, দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের পূর্ব অংশ এই সভ্যতার অন্তর্গত