সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কথার খেলাপ! মে মাসে কেন্দ্রের মোদি সরকার বলেছিল, চলতি বছরের শেষে বাজারে করোনা টিকার ২১৬ কোটি ডোজ মিলবে। এক মাসের মধ্যে অবস্থান বদল। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া কেন্দ্রের হলফনামা অন্য কথা বলছে। সেখানে কেন্দ্র জানিয়েছে, বছর শেষে বাজারে মিলবে কোভিড ভ্যাকসিনের (COVID-19 Vaccine) ১৩৫ কোটি ডোজ। দুই প্রতিশ্রুতির মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আর এই তথ্য ঘিরেই শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।
দেশে পর্যাপ্ত কোভিড টিকা মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছিল। যার সমস্ত দায় চাপানো হয়েছিল কেন্দ্রের উপর। ঘরে-বাইরে সমালোচিত হচ্ছিল মোদি সরকার। এই চাপের মাঝেই মে মাসে কেন্দ্র জানায়, দেশে দ্রুত গতিতে কোভিড ভ্যাকসিন উৎপাদন চলছে। টিকাকরণের গতিও বাড়ানো হয়েছে। সে কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছিল, চলতি বছরের শেষে দেশের বাজারে দুশোর কোটির বেশি ডোজ থাকবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের হলফনামায় দেখা যাচ্ছে সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে দাঁড়াল কেন্দ্র সরকার। হলফনামা অনুযায়ী, প্রতিশ্রুতির চেয়ে ৮১ কোটি কম ডোজ মিলবে।
[আরও পড়ুন: আগামী মাসেই দেশের বাজারে মিলতে পারে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা, জল্পনা তুঙ্গে]
কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বছর শেষে দেশে ৫০ কোটি কোভিশিল্ড, ৫০ কোটি কোভ্যাক্সিন, বায়ো-ই-এর ৩০ কোটি ডোজ, জাইডাস ক্যাডিলার ৫ কোটি ও স্পুটনিক ভি-এর ১০ কোটি ডোজ মিলবে। এর পরই প্রশ্ন উঠছে, মে মাসে তাহলে কেন ২১৬ কোটি ডোজের কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। বিরোধীদের কটাক্ষ, ফের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত মোদি সরকারের তরফে কোনও সাফাই দেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: দেশের দৈনিক টিকাকরণের হার ভালই, পর্যালোচনা বৈঠকে সন্তোষপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর]
শনিবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া আরেক হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই কিশোর-কিশোরীদের জন্য টিকা আসছে বাজারে। জাইডাস ক্যাডিলা নির্মিত টিকা মিলবে দেশে। যা ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের উপর ব্যবহৃত হবে। তৃতীয় ঢেউ রুখতে দ্রুত তাঁদের টিকাকরণ শুরু করা হবে।