সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিসেব মতো ২০২১ সালে দেশব্যাপী জনগণনা হওয়ার কথা থাকলেও অতিমারির জেরে পিছিয়ে যায় সে প্রক্রিয়া। অবশেষে জনগণনার পথে হাঁটতে চলেছে মোদি সরকার। তবে বিরোধী শিবির ও শরিক দলগুলির চাপ সত্ত্বেও জাতগণনা নিয়ে জারি রইল টানাপোড়েন। সম্প্রতি সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, জনগণনার সঙ্গেই দেশব্যাপী জাতগণনা হবে কী না দীর্ঘ আলোচনা চললেও সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কেন্দ্র। ফলে জনগণনার ফর্মে জাতির কলাম অন্তর্ভুক্ত হবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত এখনও ঝুলে।
শরিক নির্ভর তৃতীয় মোদি সরকারের আমলে রাজনৈতিক দিক থেকে জাতগণনার দাবি প্রবল আকার নিয়েছে। লোকসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বার্তা দিয়েছিলেন, 'মোদিজি যদি আপনি ভেবে থাকেন জাতগণনা বন্ধ করবেন, তাহলে স্বপ্নের মধ্যে রয়েছেন। কোনও শক্তিই এটা বন্ধ করতে পারবে না। দেশের রায় চলে এসেছে ৯০ শতাংশ মানুষ জাতগণনার পক্ষে। আপনি নির্দেশ না দিলে আপনার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এটা করবেন।' তবে শুধু বিরোধী দল নয়, এনডিএ শরিক দল এলপিজি প্রধান সাংসদ চিরাগ পাসওয়ান, জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার বার বার জাতগণনার দাবিতে সরব হয়েছেন। এমনকি খোদ আরএসএসও জাতগণনার পক্ষে মত দিয়েছেন। বিহার-সহ দেশের একাধিক রাজ্যও আলাদা আলাদাভাবে জাত গণনার পথে হেঁটেছে।
শুরুতে জাতগণনার প্রসঙ্গে মোদি সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, 'জাতগণনা দেশে সামাজিক বৈষম্য আরও বাড়িয়ে তুলবে।' কিন্তু ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে মোদি সরকার এ বিষয়ে মনোভাব কিছুটা নরম করলেও জাতিগণনার সঙ্গে জাতগণনা হবে কিনা এবিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি। গোটা বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে।
এদিকে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, শীঘ্রই দেশব্যাপী জনগণনা শুরু করতে চলেছে সরকার। এ কাজে সরকারের আনুমানিক খরচ হবে আনুমানিক ১২০০ কোটি টাকা। ২০১১ সালের জনগণনা খাতায় কলমে করেছিল ইউপিএ সরকার। সেটাই এবার হতে চলেছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। নয়া পদ্ধতিতে এবার দেশের নাগরিকরা নিজেরাই নিজেদের তথ্য দিতে পারবেন। যারা সরকারি গণনাকারীদের মাধ্যমে তথ্য না দিয়ে যারা নিজেরাই জনগণনার ফর্ম পূরণ করতে চান, তাদের জন্য জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন বা এনপিআর বাধ্যতামূলক করা হবে।