সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতায় আসার পরেই বিদেশ থেকে ভারতীয়দের কালো টাকা ফিরিয়ে আনার একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এমনকী নোটবন্দিও ঘোষণা করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে অন্য কথা। বিদেশ থেকে টাকা ফেরা তো দূরের কথা, সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের জমার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। ২০২০ সালে তা ২০,৭০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ১৩ বছরে সর্বোচ্চ। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তুলনায় কিছুটা কম টাকা জমতে দেখা গিয়েছিল। এ বার ২৮৬% বেড়ে গিয়েছে!
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (Swiss Central Bank) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে জমা অর্থ কমলেও বন্ড, সিকিউরিটিজ ও অন্যান্যভাবে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ বিপুলভাবে বেড়েছে। যদিও এই রিপোর্ট পুরোপুরি মানতে নারাজ কেন্দ্র। মন্ত্রকের কর্তারা মনে করাচ্ছেন, সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ মানেই তা কর ফাঁকির কালো টাকা নয়। শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক গোটা বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে। যদিও ২০১৮ থেকে ভারত ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে কর জমা সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদান শুরু হয়েছে। সুইস ব্যাংকে (Swiss Bank) কোন কোন ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট আছে, কারা কত অর্থ জমা রেখেছেন, সে হিসাব কেন্দ্রকে অনেক আগেই তুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সে কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘ভারতীয়রা সুইস ব্যাংকে কালো টাকা রাখছেন না। এই পরিসংখ্যান মোটেও বহুল চর্চিত কালো টাকার পরিমাণ নয়। যে অঙ্কের টাকা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে, তা সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত পরিসংখ্যান ঠিকই। কিন্তু আদৌ তা হিসাববহির্ভূত টাকা কি না, সেই তথ্য রিপোর্টে উল্লেখ নেই।’
[আরও পড়ুন: ১৩ বছরের রেকর্ড ভাঙল সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের জমা অর্থের পরিমাণ!]
মন্ত্রকের কথায়, ‘ব্যবসায়িক লেনদেন বৃদ্ধির ফলেই হয়তো টাকার পরিমাণ বেড়েছে। এখানে সুইস ব্যাংকগুলিতে ভারতীয় বাসিন্দাদের অঘোষিত আয়ের জেরে আমানত বৃদ্ধির কোনও উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে হয় না।’ পাশাপাশি, অর্থমন্ত্রক তহবিল বৃদ্ধির সম্ভাব্য কারণগুলির বিষয়ে সুইস কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং এই বিষয় সম্পর্কিত তথ্যও চেয়ে পাঠিয়েছে।