সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে করোনার সুনামি। চলতি মাসের শেষে যে চেহারাটা আরও ভয়াবহ হতে চলেছে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে আরও কড়া হচ্ছে কেন্দ্র। রবিবার নয়া নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল, অতিমারী আবহে অন্তঃসত্ত্বা এবং বিশেষভাবে সক্ষম কর্মীদের অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁরা যেন বাড়ি বসেই অফিসের কাজ সারেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং আরও জানান, যাঁরা কনটেনমেন্ট জোনের মধ্যে রয়েছেন, তাঁদেরও কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। যতদিন না ওই এলাকা কনটেনমেন্ট জোনের তকমা থেকে মুক্ত হবে, ততদিন সেখানকার কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে এও জানানো হয়, আন্ডার সেক্রেটারি পর্যায়ের নিম্ন পদের সরকারি কর্মীদের শারীরিক উপস্থিতি ৫০ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে। বাকি ৫০ শতাংশ বাড়ি থেকেই কাজ করবে। সেই মতো করেই কাজের সূচি তৈরি করবে প্রতিটি বিভাগ। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যাঁরা অফিসে যাবেন এবং যাঁরা বাড়িতে বসে কাজ করবেন, তাঁদের মধ্যে যাতে যোগাযোগের অভাব না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। সর্বক্ষণ মোবাইল কিংবা অন্য ডিভাইসে অ্যাকটিভ থাকা প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন: COVID-19 Update: রাজ্যে রেকর্ড দৈনিক করোনা সংক্রমণ, কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত প্রায় ৮৮০০]
এছাড়া কর্মক্ষেত্রের সমস্ত জরুরি মিটিং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে বলেও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। পাশাপাশি কারও সঙ্গে খুব প্রয়োজন না হলে সাক্ষাৎ থেকেও বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভিড় এড়াতে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৫টা এবং সকাল ১০ থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টা- এই দুই শিফ্টে কাজের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। প্রত্যেককে মাস্ক ব্যবহার, হাত স্যানিটাইজ করার মতো কোভিডবিধিগুলি মেনে চলতে হবে। কর্মস্থলও নিয়মিত স্যানিটাইজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, নয়া গাইডলাইন আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে প্রতি মুহূর্তে করোনা (COVID-19) পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হবে। সেই বুঝে প্রয়োজনে নির্দেশিকায় বদলও ঘটানো হতে পারে।