সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ঘোষণা করেছেন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে চলে আসবে মারণ ভাইরাসের ভ্যাকসিন (COVID vaccine)। বিজ্ঞানীরা সবুজ সংকেত দিলেই শুরু হয়ে যাবে টিকাকরণও। কিন্তু কংগ্রেসের অভিযোগ, দেশের গরিব মানুষ কিংবা যাঁরা ‘ফ্রন্টলাইন’ কর্মী নন, তাঁদের জন্য সরকারের কোনও পরিকল্পনাই নেই।
লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) বৈঠকের পরে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘সরকার বারবার বলে চলেছে যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া দরকার, তাদের তা দেওয়া হবে। কিন্তু কে সেটা ঠিক করবে? গরিবদের কী করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনও পরিকল্পনার কথা আলোচনাই হয়নি।’’ এদিনের বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে অধীর ছাড়াও হাজির ছিলেন গুলাম নবি আজাদ। এছাড়া ছিলেন তৃণমূলের তরফে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএমকের টি আর বালু, জেডিএসের এইচ ডি দেবেগৌড়া। সব দলের প্রতিনিধিরা এদিন বৈঠকে বলার সুযোগ পাননি। তবে, প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেককে নিজেদের বক্তব্য লিখিত আকারে পেশ করতে অনুরোধ করেন। এবং জানান, তাঁদের পরামর্শকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে প্রথমবার ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী আইনে ভিনধর্মের বিয়ে রুখল পুলিশ]
প্রসঙ্গত, এদিনের বৈঠক চলাকালীন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, সবার আগে করোনা ভ্যাকসিন পাবেন দেশের এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মী। পরবর্তী দু’কোটি বরাদ্দ হবে সেনা, পুলিশ ও পুরসভার কর্মীদের জন্য। এদিকে কয়েক দিন আগেই স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছিলেন, সরকার কখনও বলেনি দেশের সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা। তখন থেকেই ভ্যাকসিন বণ্টন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এদিনও বাকিদের ভ্যাকসিন কীভাবে দেওয়া হবে, সেই প্রসঙ্গেই সুর চড়ালেন অধীর।
বণ্টনের পাশাপাশি সংশয় রয়েছে ভ্যাকসিনের দাম নিয়েও। এদিনের বৈঠকে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সাংসদ নাম্মা নাগেশ্বর রাও দাবি জানান, সরকারের উচিত বিনামূল্যে সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি দেশজুড়ে সহজেই ভ্যাকসিন বণ্টনের জন্য কোল্ড স্টোরেজের বন্দোবস্ত করার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হাতে আসবে করোনার ভ্যাকসিন, সর্বদল বৈঠকে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে ভ্যাকসিনের পাশাপাশি জিএসটির বকেয়া নিয়েও দাবি তোলে বিরোধীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শিব সেনার বিনায়ক রাউতরা বকেয়া টাকার প্রসঙ্গ তোলেন। এদিকে দিল্লি সীমান্তে কৃষি বিক্ষোভের প্রসঙ্গ তুলতে দেখা যায় সাংসদ টিআর বালুকে।