সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ-সহ সব রাজ্যকে চালু করতেই হবে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড। রাজ্যে এসে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে গেল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। রবিবার কল্যাণী এইমসে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে দিনভর বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পর কমিশনের ইউজিএমবি (আন্ডার গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ড) সভাপতি ডা. অরুণা ভানিকার কার্যত সতর্ক করে বলেন,‘‘আয়ুষ্মান ভারত কার্ড আইডি (আভা আইডি) ছাড়া চিকিৎসা করানো হলে তা কোনওভাবেই গ্রাহ্য করবে না কেন্দ্র সরকার।’’
এনএমসি-র এক আধিকারিক পরে ব্যাখা করে বলেন, ধরা যাক কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল একবছরে আউটডোর-ইন্ডোর মিলিয়ে ১০ হাজার রোগী চিকিৎসা করল। বছর শেষে এনএমসি যখন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মূল্যায়ন করবে কোনও নম্বরই দেবে না। ফলে কেন্দ্রীয় অনুদান পাওয়াও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। পশ্চিমবঙ্গে এখনও চালু হয়নি আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের সিংহভাগ মানুষের আভা-আইডি কার্ড নেই। এবার কেন্দ্র যদি আভা-আইডি ছাড়া রোগীকে স্বীকৃতি না দেয় তবে বিপাকে পড়তে পারে মেডিক্যাল কলেজগুলি। কারণ, কত সংখ্যক রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন তার উপর নির্ভর করে কলেজগুলির এমবিবিএস আসন সংখ্যা।
[আরও পড়ুন: হড়পা বান ও ভুমিধসে হিমাচলে মৃত বেড়ে ১৩, নিখোঁজ অন্তত ৪০]
উল্লেখ্য, রাজ্যের সব সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের উপস্থিত থাকার জন্য এনএমসি ই-মেল করলেও এসএসকেএম,কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে অংশ নেওয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছিল স্বাস্থ্যভবন। এই প্রসঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা ডা.কৌস্তভ নায়েক বলেন,‘‘প্রতিনিধিদের থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই স্বাস্থ্যভবন অবস্থান জানাবে।’’এদিনের বৈঠকে মঞ্চে দেখা যায় বিতর্কিত কার্তিক মহারাজকে। রীতিমতো কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে তিনি চিকিৎসদের সরকারি আলোচনায় হাজির হওয়ায় গুঞ্জন শুরু হয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে একজন সাধুর উপস্থিত হওয়ার নেপথ্যের কারণ কী? চিকিৎসদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, চিকিৎসকদের মানসিক ধৈর্যের দরকার। তবেই রোগীরা ভাল থাকবেন।
[আরও পড়ুন: অভিবাসী-বিরোধী বিক্ষোভে জ্বলছে ব্রিটেন, কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রীর]
ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ এনেছে এনএমসি। এনএমসি-র এথিক্স অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন বোর্ডের সদস্য বিজয়লক্ষ্মী নাগের অভিযোগ, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল তথ্য দেয় না। এথিক্স ফাইল চেয়ে পাঠালে দেয় না। ফলে কাজ করতে সমস্যা হয়। এদিনের বৈঠকেই জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল রেজিস্ট্রার নাম বদলে ন্যাশনাল মেডিক্যাল রেজিস্ট্রার দেওয়া হবে। চলতি মাস থেকেই এনএমআর পোর্টাল চালু হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে অভিযোগ, ব্যাপক জাল হচ্ছে সার্টিফিকেট। একই নম্বরে ৩-৪ জন চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন। এমনটা কী করে হয়? প্রশ্ন এনএমসি-র কর্তাদের।