সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ সালের পাঁচ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আর তারপরই সেখানকার জমি সংক্রান্ত তথ্য জানতে ইন্টারনেট ঘেঁটে ফেলেছিলেন প্রচুর মানুষ। কিন্তু, সেসময় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই বিষয়ে কী করতে হবে তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি না হওয়ায় সবকিছু আলোচনার স্তরেই ছিল। মঙ্গলবার সেই সমস্ত আলোচনার অবসান ঘটিয়ে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। কীভাবে ভারতের যেকোনও নাগরিক লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবে সেই সংক্রান্ত আইনের নোটিস প্রকাশ করল।
ওই বি়জ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের স্থায়ী বাসিন্দা না হয়েও যেকোনও ভারতীয় নাগরিক সেখানে জমি কিনতে পারবেন। তবে কৃষির সঙ্গে যুক্ত না হলে জম্মু ও কাশ্মীরে চাষের জমি কেনা যাবে না। তবে প্রয়োজনীয় কৃষির জমির চরিত্র বদলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত সেন্টার খোলা যাবে। নতুন এই আইন চালু করার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের তৈরি করা পুরনো ২৬টি আইন বাতিল করা হয়েছে। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা পরেই জমি সংক্রান্ত আইনে বদল আনার চেষ্টা করছিল কেন্দ্র। এর জন্য জম্মু ও কাশ্মীর উন্নয়ন আইনের ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধনও করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘গো করোনা গো’ স্লোগান দিয়েও মিলল না রেহাই, এবার করোনায় আক্রান্ত রামদাস আতাওয়ালে ]
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কথা জানার পরেই এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি টুইট করেন, এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত। জম্মু ও কাশ্মীরকে বিক্রি করে দেওয়া চক্রান্ত করছে কেন্দ্র সরকার। যেভাবে কৃষি জমির চরিত্র বদলে অন্য কিছু করার বিষয়ে সায় দেওয়া হচ্ছে তাতে প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পাশাপাশি জমি কেনার জন্য স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার শর্ত বাতিল করে খুব ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।