সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’। বিবিসির এই বিতর্কিত ডকুমেন্টারি নিয়ে এবার আরও কড়া কেন্দ্র। ইউটিউব থেকে তো বটেই টুইটার থেকেও ওই ডকুমেন্টারি সম্পর্কিত যাবতীয় টুইট ডিলিট করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (IT Ministry)।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি ডকু সিরিজের প্রথম পর্ব প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রের দাবি, ওই ডকু সিরিজটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারত সরকার বিরোধী অপপ্রচার দেখানো হয়েছে। শুরু থেকেই বিতর্ক ঘনিয়েছে এই সিরিজকে ঘিরে। গত মঙ্গলবার সম্প্রচার হয় ধারাবাহিক এই সিরিজের প্রথম পর্ব। কিন্তু পরদিনই সেটা ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্ব ২৪ জানুয়ারি সম্প্রচারিত হওয়ার কথা। যার বিষয়বস্তু হল গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সময়কাল। বিবিসির ওই সিরিজে মোদিকে প্রবল মুসলিম বিরোধী হিসাবে দেখানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: শীঘ্রই KLO প্রধান জীবন সিংহের সঙ্গে ‘শান্তি আলোচনা’ শুরু কেন্দ্রের! বাড়ছে বাংলা ভাগের আশঙ্কা]
বিদেশমন্ত্রক আগেই ওই সিরিজটিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে দেগে দিয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, এটিতে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব ও ঔপনিবেশিক মানসিকতা দৃশ্যমান। কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, ওই সিরিজটির আর কোনও পর্ব ভারতে দেখা যাবে না। শুধু তাই নয়, ওই ডকু সিরিজের ভিডিও দিয়ে করা ৫০টি টুইটও ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সব টুইট ডিলিট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে আবার রয়েছে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের (Derek O Brien) টুইটও। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার একপ্রকার সেন্সরশিপ চালাচ্ছে। বিবিসির ওই ১ ঘণ্টার ডকু সিরিজে বলা ছিল, প্রধানমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের কতটা ঘৃণা করেন।
[আরও পড়ুন: আরএসএসের সঙ্গে বাবার আদর্শের কোনও মিলই নেই, বলছেন নেতাজি কন্যা অনিতা পাফ]
কেন্দ্রের এই টুইট ব্লক করার নির্দেশ নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেসও। তাঁদেরও দাবি মোদি সরকার সেন্সরশিপ চালাচ্ছে। মোদি যদি মুসলিম বিরোধী নাই হবেন, তাহলে কেন বাজপেয়ীকে গুজরাটে গিয়ে ‘রাজধর্ম’ মনে করাতে হয়েছিল? টুইট করে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ।