সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে হাজির হলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পহেলগাঁও হামলার পর যুদ্ধের আবহে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কতখানি প্রস্তুত, সেই নিয়ে আলোচনা করতেই সম্ভবত মোদির বাসভবনে গিয়েছেন রাজনাথ। পহেলগাঁওয়ের পালটা দিয়ে পাকিস্তানের উপর হামলার নীল নকশা কি এই সাক্ষাতেই ছকে ফেলা হবে? চলছে জল্পনা।
পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের নৃশংস হত্যালীলার পরে ভারতীয় স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বিমান বাহিনীকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। তিন বাহিনীর তরফে যুদ্ধের মহড়াও করা হয়েছে। যুদ্ধ প্রস্তুতির বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশ করেছে তিন বাহিনী। এহেন পরিস্থিতিতে রবিবার সন্ধ্য়ায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান। সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন সিডিএস।
সেই বৈঠকের পরের দিনই ৭ লোককল্যাণ মার্গে পৌঁছে গেলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছে যান রাজনাথ সিং। অবশ্য আগে থেকেই জানা ছিল যে সোমবার এই বৈঠক হতে পারে। এই শীর্ষ বৈঠকের আবহেই জল্পনা, তাহলে কি পাকিস্তানে হামলার আগে আটঘাঁট বাঁধছে ভারতের তিন বাহিনী? পহেলগাঁও হামলার পরে দেশজুড়ে ধ্বনি উঠছে,পালটা মার দেওয়া হোক পাকিস্তানকে। সর্বদল বৈঠকে গিয়ে বিরোধীরাও বার্তা দিয়েছেন, পহেলগাঁওয়ের জবাব দিতে সরকার যা পদক্ষেপ করবে তাতে পাশে থাকবে বিরোধীরা।
তাহলে কি নিজেদের রক্ষণ মজবুত করে পাকিস্তানে বড়সড় হামলার জন্যই তৈরি হচ্ছে ভারত? সেজন্যই কি তাড়াহুড়ো না করে কিছুটা সময় নিয়ে পালটা মারের প্রস্তুতি তিন বাহিনীর? পহেলগাঁও হামলার পর এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের উপরে কূটনৈতিক হামলা চালিয়েই আপাতত থেমে রয়েছে নয়াদিল্লি। তবে দেশের অন্দরে সেনার সক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো বেড়ে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে মোদি-রাজনাথের বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্রের খবর, প্রায় ৪০ মিনিট আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। পহেলগাঁও হামলা নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদানপ্রদান করেছেন তাঁরা।