বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রের বকেয়ার একাংশ হাতে এল রাজ্যের। নবান্ন (Nabanna) সূত্রের খবর, ৯৫৫ কোটি টাকা পাঠিয়েছে দিল্লি। বলা হয়েছে, সর্বশিক্ষা অভিযানের (Sarva Sikhsa Abhiyan) খরচ বাবদ এই টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫ মাস পর এই টাকা পাওয়া গেল। তবে ১০০ দিনের টাকা বকেয়া টাকা নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি তাতে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এরপরই রাজ্যের তরফে নতুন শিক্ষানীতির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে অধিকাংশই কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে মিলে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। অর্থাৎ কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতে খানিকটা প্রলেপ পড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মাস তিনেক আগে দিল্লি (Delhi) সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়ার হিসেব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। হিসেবের খতিয়ান প্রকাশ্যে এসেছিল। তাতে দেখা যায়, শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বাবদই পাওনার অঙ্ক ৩৯,৩২২.৬০ কোটি টাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য রাজ্য পাবে ৬০,৬২৯.২৮ কোটি টাকা। এরপরও পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে অনুদান পাওয়ার কথা রাজ্যের। সবমিলিয়ে মোট প্রাপ্য ১ লক্ষ ৯৬৮.৪৪ কোটি টাকা। এই বকেয়া যাতে দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হয়, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: কুণালের মানহানি মামলার তদন্তে স্থগিতাদেশের আরজি খারিজ হাই কোর্টে, অস্বস্তি শুভেন্দু]
এরপর উৎসবের মরশুমে কাটতে না কাটতেই বকেয়ার খানিকটা অংশ পৌঁছল রাজ্যের হাতে। সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পের জন্য ৯৫৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্যের মূল দাবি ছিল, ১০০ দিনের কাজের (100 days work) বকেয়া টাকা মেটানো। কিন্তু সেই টাকা না পাওয়ায় কিছুটা ক্ষোভ থাকছেই। বিশেষত পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামাঞ্চলে ১০০ দিনের কাজ না হলে উন্নয়নে তা বাধা হতে পারে, সেই আশঙ্কাই করছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, ১০০ দিনের টাকা আদায় না হলে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশের পর এবার হিন্দিতে ডাক্তারি পড়ানোর সিদ্ধান্ত আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্যের]
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ”১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র আটকাল। তার আগে রাজ্য বিজেপি বলল, টাকা দেবেন না৷ কিন্তু কেন্দ্রের রিপোর্ট বলল কাজে ১ নম্বর বাংলা। এটা দেখেই বিজেপির বুক ফাটল। তাই টাকা আটকানো হল। দেখল বাংলা এক নম্বরে থাকলে ভোট পাবে না। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।”