স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: করোনায় (COVID-19 death) মৃতের সংখ্যার কারচুপি রুখতে নয়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা কেন্দ্রের হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, এবার থেকে কোভিড আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটেও (Death Certificate) কারণ হিসাবে করোনা উল্লেখ করতে হবে। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্র জানিয়েছে, করোনায় মৃতের পরিবারকে এককালীন ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়।
করোনা আবহে মৃতের সংখ্যা নিয়ে কারচুপির অভিযোগ ওঠে, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, দিল্লির মতো রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিরুদ্ধে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে মৃতের সংখ্যা ও সেই সময়ে শ্মশান, পুরসভার মতো প্রতিষ্ঠানে মৃতের নিবন্ধীকরণের সংখ্যায় দেখা গিয়েছে ব্যাপক গরমিল। এর অন্যতম কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত চলে আসা নিয়ম।
[আরও পড়ুন: কঠিন সময়ে যোগাসনেই আস্থা, যোগ দিবসে ‘এম যোগা’ অ্যাপের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর]
এতদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর শংসাপত্রেই শুধু মৃত্যুর কারণ হিসাবে উল্লেখ থাকত কোভিডের। বাড়িতে চিকিৎসাধীনরা তো দূর অস্ত, হাসপাতাল চত্বরে অপেক্ষমাণ কারও মৃত্যু হলেও ডেথ সার্টিফিকেটে কোভিডের উল্লেখ থাকত না। তবে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র এই হলফনামা জমা দেওয়ার পর এখন থেকে কোভিড সংক্রান্ত সব মৃত্যুর শংসাপত্রেই ‘আসল’ কারণ উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক হল। হলফনামায় এমনও বলা হয়েছে, যদি কোনও চিকিৎসক এই নির্দেশ অমান্য করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি ১৮৩ পাতার হলফনামায় শীর্ষ আদালতে আরও বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করেছে কেন্দ্র। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কোভিডে মৃতদের পরিবারকে এককালীন চার লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ না দিতে পারার প্রসঙ্গ। ২৪ মে এক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নোটিস দিয়ে কেন্দ্রকে বলে, কোভিডে মৃতদের পরিবারকে এককালীন চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কেন্দ্র জানিয়েছে, সব সরকারেরই কোষাগারের অবস্থাই খুবই শোচনীয়। এই পরিস্থিতিতে চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে গেলে যত অর্থের প্রয়োজন, তত টাকা নেই কোনও সরকারের কাছেই।