স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ওয়েবসাইটে ভারতের মানচিত্রে জম্মু ও কাশ্মীরকে আলাদা রঙে চিহ্নিত করা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। বিতর্কের জল বহু দূর গড়িয়েছে। তা নিয়ে সোমবার রাজ্যসভায় জবাব দিল কেন্দ্র। জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে কড়া বার্তা দিয়েছে তারা।
এদিন এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)।তিনি প্রশ্ন করেন, কেন কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে পৃথক রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে? কেন্দ্র এই ইস্যুতে কোনও প্রতিবাদ জানিয়েছে কিনা তা-ও জানতে চান মন্ত্রী। জবাবে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সর্বোচ্চ স্তরে কথা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: WHO’র মানচিত্রে পাকিস্তান-চিনের অন্তর্ভুক্ত জম্মু-কাশ্মীর! মোদিকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের]
রাজ্যসভায় একথা জানান বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন (V muralidharan)। তিনি জানান, ভারতের প্রতিবাদের লিখিত জবাবও দিয়েছে হু। কেন্দ্রের দাবি, সেই লিখিত জবাবে হু জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া ভারতের মানচিত্রে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই মানচিত্রে কোনও দেশের অবস্থান দেখানো হয়নি। যদিও এই জবাবে ভারত সন্তুষ্ট নয়, তাও বলে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
গত বছরই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। কেন্দ্রকে তা বারবার জানানো হয়। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) অবিলম্বে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডা. শান্তনু সেন। তার পরই এনিয়ে কেন্দ্রের জবাব সামনে আসে রাজ্যসভায়।
[আরও পড়ুন: বাংলার মানচিত্রে নেই উত্তরবঙ্গ! ভাইরাল ভিডিও দেখে পুলিশের দ্বারস্থ তৃণমূল সাংসদ]
প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে কোভিডের (COVID-19) প্রভাব কেমন, কোথাকার করোনা চিত্র কেমন – সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর জন্য একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে WHO। সেই মানচিত্রেই বিভ্রাট ঘটছে। ঘন নীল ভারতের শুধুমাত্র জম্মু-কাশ্মীর অংশটির রং সম্পূর্ণ আলাদা করা হয়েছে। তারও মধ্যে আরেকটি ছোট অংশকে চিহ্নিত করা হয়েছে অন্য নীল এবং ধুসরের দাগ দিয়ে। কী কারণে এক দেশের অবিচ্ছদ্য অংশকে এতরকমভাবে দেখানো হল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মানচিত্রে? এই প্রশ্নই উঠেছে। এর আগে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রকাশিত বিশ্ব মানচিত্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন (Santanu Sen)।