সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) আতঙ্ক কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। এবার লক্ষ্য আর্থিক বৃদ্ধিকে দ্রুততর করা এবং দেশের বৃদ্ধিকে দুই সংখ্যায় পৌঁছে দেওয়া। সেই লক্ষ্যে রাজ্যগুলিকে পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। রাজ্যগুলির উৎসাহ বর্ধনের লক্ষ্যে চলতি মাসে কেন্দ্রের কর বরাদ্দের অংশ বাবদ দ্বিগুণ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। তবে, এই টাকা দেওয়া হবে রাজ্যের ভাগ থেকেই।
প্রসঙ্গত, করের অংশ বাবদ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা রাজ্যগুলিকে দিয়ে থাকে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের (Ministry of Finance) তরফে জানানো হয়েছে, নভেম্বর মাসে সেই টাকা দেওয়া হবে আগের দ্বিগুণ। অতিরিক্ত টাকা রাজ্যগুলি কাজে লাগাবে পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে। সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) বলেন, “প্রতি মাসে কেন্দ্র ভাগ হিসেবে রাজ্যগুলিকে মোট ৪৭ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা দেয়। সাধারণত মাসের ২০-২১ তারিখের মধ্যে তা রাজ্যের তহবিলে পৌঁছে যায়। নভেম্বর মাসের ২২ তারিখে রাজ্যগুলির কোষাগারে তার দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৯৫,০৮২ কোটি টাকা পৌঁছে যাবে।”
[আরও পড়ুন: ‘নিজের সরকারকে প্রশ্ন করুন’, পেট্রল-ডিজেলে VAT না কমানোয় রাজ্যগুলিকে নিশানা নির্মলার]
এই হিসাব অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ সরকার নভেম্বর মাসে পাবে ৭ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। অন্যান্য মাসে করের টাকা বাবদ রাজ্য সাধারণত পেয়ে থাকে ৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা। যদিও, কেন্দ্র এই টাকা অতিরিক্ত দিচ্ছে না। রাজ্যের প্রাপ্ত ভাগ থেকেই দিচ্ছে। প্রতিবছর কেন্দ্রীয় করের অংশকে ১৪ ভাগে ভাগ করে রাজ্যগুলির কাছে পাঠানো হয়। ১২ মাসে ১২টি কিস্তি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বাড়তি দুই কিস্তি দেওয়া হয় মার্চ মাসে। নভেম্বর মাসে সেই অতিরিক্ত দুই কিস্তিরই একটি রাজ্যগুলিকে দিয়ে দেবে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে বন্ধ মাছ-মাংস-ডিম বিক্রি, রুটিরুজি হারিয়ে বিপন্ন আহমেদাবাদের ব্যবসায়ীরা]
সোমবার থেকে কোভিড পরবর্তী যুগে অর্থনীতির উন্নতি নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ডাকা বৈঠকে ১৫টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, ৩ রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং বাকি রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতি আর্থিক বৃদ্ধির পথে ফিরতে শুরু করেছে। সেই আর্থিক বৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে রাজ্য স্তরে কী কী পদক্ষেপ করা দরকার, মূলত তা নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা হয়।