সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গি হামলা আবার বেড়ে গিয়েছে কাশ্মীর উপত্যকায়। কখনও সেনা, কখনও সাধারণ মানুষের উপর হামলা হচ্ছে। পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশের খবরও আসছে ক্রমাগত। সব মিলিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে দিল্লির। অনুপ্রবেশ রুখতে নিয়ন্ত্রণরেখায় নজরদারি চালানো হলেও বাহিনীর নজর এড়িয়েও কেমন করে জঙ্গিরা কাশ্মীরে প্রবেশ করে যাচ্ছে, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে অনুমান, গত এক বছর ধরে এই ধরনের বেশ কিছু অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আবার, কাশ্মীরের স্থানীয় যুবকদের একটা অংশকে মগজধোলাই করে সন্ত্রাসী কাজে যুক্ত করা হয়ে থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।
এই সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে গান্দেরবালে সাম্প্রতিক জঙ্গি হানা। জঙ্গিদের চকিত হানায় সাত নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, হামলা চালিয়েছিল দুই জঙ্গি। প্রায় ১০ মিনিট ধরে নাগাড়ে গুলি চালায় তারা। তাদের মধ্যে এক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সে কাশ্মীর উপত্যকারই স্থানীয় তরুণ। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার বাসিন্দা। ২০২৩ সালেই ওই তরুণকে মগজধোলাই করিয়ে জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত করানো হয়েছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। অনুমান করা হচ্ছে অপর জঙ্গি পাকিস্তান থেকে এ দেশে প্রবেশ করেছিল। কাশ্মীরি তরুণের হাতে ছিল একে-৪৭। অপর জঙ্গির হাতে ছিল আমেরিকার এম-৪ রাইফেল।
উপত্যকায় স্থানীয় তরুণদের একাংশের মধ্যে যে ভাবে দ্রুত গতিতে সন্ত্রাসবাদের বীজ বপনের চেষ্টা চলছে, তাতে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে দিল্লির। অনুমান, কাশ্মীরের স্থানীয় জঙ্গিরা অন্য গোষ্ঠীর জঙ্গিদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করে থাকতে পারে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চলতি বছরের মার্চেই তুলাইল সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে বেশ কয়েকজন জঙ্গি কাশ্মীরে প্রবেশ করে।
শুধু তা-ই নয়, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে তুলাইল, গুরেজ, মাচিল এবং গুলমার্গ হয়ে একাধিক অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। সে ক্ষেত্রে কাশ্মীর উপত্যকায় স্থানীয় তরুণেরা যাতে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে কাশ্মীর পুলিশ এবং ভারতীয় সেনা। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না অনেক সময়। কারণ, জঙ্গিরা এক বার অনুপ্রবেশ করলে, প্রথমে তারা সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে থাকে। ‘লো প্রোফাইল’ হয়ে থাকে।