ইস্টবেঙ্গল: ১ (অ্যাকোস্টা)
মহামেডান: ২ (আদজা-২)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লজ্জায় কোথায় মুখ লুকোবেন, ম্যাচ শেষে যেন ভেবে পাচ্ছিলেন না সুভাষ ভৌমিক ও তাঁর ছেলেরা। কারণ মঙ্গলবারই তাঁরা নিশ্চিত হয়ে গেলেন, যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা শেষ। কোটি টাকার বিনিয়োগকারী এনে, বিশ্বকাপারকে সই করিয়ে, দামী দল বানিয়েও যে এভাবে মুখ পুড়বে, ভাবতেই পারেননি লাল-হলুদ সমর্থকরা।
ডার্বিতে হয়নি। মিনি ডার্বিতেও হল না। লাল-হলুদ জার্সি গায়ে যেদিন থেকে মাঠে নেমেছেন, জয়ের মুখই দেখেননি জনি অ্যাকোস্টা। মঙ্গলবার যুবভারতীতে জয়ের কান্ডারি হয়ে উঠতে পারতেন তিনি। কিন্তু এদিনও বিশ্বকাপার ডিফেন্ডারকে টপকে হয়ে গেল জোড়া গোল। আর সেই সঙ্গে হাত থেকে বেরিয়ে গেল কলকাতা লিগ।
[বিদায়বেলায় সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই সারপ্রাইজ গিফট পেলেন কুক!]
পিয়ারলেসের কাছে পরাস্ত হওয়ার পরই সকলে মোটামুটি ধরে নিয়েছিল কলকাতা লিগের চ্যাম্পিয়নশিপ দৌড়ে আর সেরকম কোনও আশা নেই। এদিনের হারের পর সেই আশঙ্কায় সিলমোহর লাগিয়ে দিলেন সুভাষ ভৌমিকের ছেলেরা। যে অ্যাকোস্টাকে নিয়ে টানা ন’বার লিগ জয়ের স্বপ্নে বুঁদ হয়েছিলেন লাল-হলুদ ভক্তরা, তিনটি ম্যাচ খেলে সেই কোস্টারিকান ডিফেন্ডারই দলের খলনায়কে পরিণত হলেন। তিনি মাঠে নামার পরই যেন ইস্টবেঙ্গলে শনির দশা শুরু। এদিন তাঁর গোলেই ৮৬ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তারপর যে এভাবে হাওয়া বদল হবে, কে জানত। আদজার জোড়া গোলে বদলে গেল সমস্ত সমীকরণ। ইনজুরি টাইমে কাউন্টার অ্যাকাটে ওয়ান-ইন-ওয়ান পজিশন থেকে যখন গোল করলেন আদজা, তখন বিশ্বকাপার ডিফেন্ডারকে খুঁজেই পাওয়া গেল না। পিয়ারলেস ম্যাচের পর যেন ফোকাসটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। নাহলে টানা আটবারের চ্যাম্পিয়নরা চলতি লিগে এভাবে গোল হজম করেন! দ্বিতীয়ার্ধে মহামেডানের লাগাতার আক্রমণের সামনে বেশ অসহায় দেখাল ইস্টবেঙ্গলকে। দলে একজন ভাল স্ট্রাইকারের অভাব বারবার অনুভূত হল। তাছাড়া স্প্যানিশ কোচের সামনে ইস্টবেঙ্গলের ভাবমূর্তিটা কেমন হল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
[বিশ্বজয়ী ঈশানের বোনকে বিয়ে করতে হাজির যুবক, চন্দননগরে শোরগোল]
১০ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ২০। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের সেখানে ন’ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট। তাই বুধবার কাস্টমসের বিরুদ্ধে জিতলেই আট বছর পর ঘোষিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে গঙ্গাপারের ক্লাব। অর্থাৎ গোষ্ঠ পাল সরণিতে কাপ আসা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।