কেরালা ব্লাস্টার্স: ৩ (আত্মঘাতী, নোয়া সাদৌয়ি, আলেকজান্দ্রে কোয়েফ)
মহামেডান এস সি: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের মাঠেও মুছল না গ্লানি। টানা ৫ ম্যাচে হার মহামেডানের। ৩-০ ফলাফলে জয় ছিনিয়ে নিল কেরালা ব্লাস্টার্স। তাও আবার একটি গোল হল সাদা-কালো ব্রিগেডের গোলকিপার ভাস্কর রায়ের বিশ্রী ভুলে। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সাম্প্রতিক খারাপ পারফরম্যান্সের কথা তুলে ধরে ম্যাচের আগে ছেলেদের তাতানোর চেষ্ট করেছিলেন মহামেডান কোচ আন্দ্রে চের্নিশভ। তাতে কোনও লাভ হল না। আবারও প্রমাণিত হল---ব্যক্তিগত নৈপুণ্য কিংবা দলগত লড়াই, দুয়ের কোনওটাই নেই এই দলের ভাড়ারে। ফলে পাঁচ ম্যাচে হেরে আরও আঁধারে ময়দানের তৃতীয় প্রধান।
কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ছিল রবিবাসরীয় ম্যাচ। কেরালা ব্লাস্টার্স এবং মহমেডান এসসি উভয়ই বর্তমানে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কেরলের দল ১১ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে ছিল, অন্যদিকে মহামেডান ৫ পয়েন্ট নিয়ে সবচেয়ে নিচে। লিগের আগের ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে ২-৩ গোলে হেরেছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। মহামেডান এসসি তাদের শেষ ম্যাচে ০-১ গোলে পরাজিত হয়। এই অবস্থায় দুই দলই নেমেছিল জয়ের লক্ষ্যে।
প্রথম অর্ধে নোয়া সাদৌয়ি, আলেকজান্দ্রে কোয়েফদের বিরুদ্ধে মোটের উপর লড়াই চালিয়েছে মহামেডানের রক্ষণভাগ। কোচির গ্যালারির হলুদ সমর্থকদের ঢেউ সামলে কাজটা সহজ ছিল না। কিন্ত ৬২ মিনিটে ছন্দ পতন হল। আদ্রিয়ান লুনার ভাসানো নির্বিষ কর্নার না-লুফে ঘুষি দিয়ে ওড়াতে যান গোলরক্ষক ভাস্কর। তাতেই বিপত্তি হয়। বলের লাইন এবং সময়ের গোলমালে ভাস্করের হাতে লেগে গোলে ঢুকে যায় বল ৷ ১-০ এগিয়ে যেতেই ম্যাচের কর্তৃত্ব চলে যায় কেরালার পায়ে। ৮০ মিনিটে কোরো সিংয়ের মাপা সেন্টারে মাথা ছুঁইয়ে ২-০ করেন ম্যাচের সেরা নোয়া সাদৌয়ি। আশ্চর্য ভাবে সাদৌয়ি যখন বক্সের মধ্যে হেড করছেন, তখন তাঁকে বাধা দেওয়ার জন্য একজনও সাদাকালো ডিফেন্ডার ছিলেন না ৷ ম্যাচের সংযুক্ত সময়ে কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন আলেকজান্দ্রে কোয়েফ ৷ ফের প্রশ্ন উঠছে, আই লিগের দল দিয়ে আইএসএল খেলা যায়?