দুলাল দে: কলকাতা লিগে লজ্জার ইতিহাস লিখতে চলেছে শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গল। সব ঠিক থাকলে, বৃহস্পতিবার কাস্টমসের বিরুদ্ধে নামছে না লাল-হলুদ শিবির। কর্তাদের ম্যাচ খেলার ইচ্ছা থাকলেও, কোয়েস এবং কোচ আলেজান্দ্রো বেঁকে বসায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: নভেম্বরের মাঝেই শুরু আই লিগ! টেলিভিশন সম্প্রচার নিয়ে ধন্দ অব্যাহত ]
বুধবার মধ্যরাতে কোচিং স্টাফ-সহ ফুটবলারদের যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে সেখানে বার্তা গিয়েছিল, ম্যাচ খেলতে কল্যাণী যাবে ইস্টবেঙ্গল। সেভাবে সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে প্রস্তুত থাকতে হবে। ঠিক হয়েছিল সিনিয়র দল এবং অ্যাকাডেমির কিছু ফুটবলার নিয়ে ১১ জনের দল তৈরি করে কাস্টমসের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে যাবেন সহকারী কোচ বাস্তব রায়। কিন্তু সকাল হতেই চিত্রটা সম্পূর্ণ ঘুরে যায়। কোচ আলেজান্দ্রো জানিয়ে দেন, সিনিয়র দলের ফুটবলার দূরস্ত, অ্যাকাডেমির ফুটবলারকেও ছাড়বেন না তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিনিয়র দলের পাশাপাশি অ্যাকাডেমি দলও কোয়েসের অধীনে। তাই কোয়েস যদি ফুটবলার না ছাড়ে ক্লাব তাতে কিছুই করতে পারবে না। জানতে পেরে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেন কোয়েস কর্তাদের সঙ্গে। বোঝানোর চেষ্টা হয়, ক্লাবের শতবর্ষ চলছে। এই সময় লিগের ম্যাচে ওয়াক-ওভার দিলে ইতিহাসে কালিমালিপ্ত হবে ইস্টবেঙ্গল। যেভাবে হোক কোচকে বুঝিয়ে যেন এগারো জনকে নামানোর ব্যবস্থা করা হয়। ক্লাবের অনুরোধে সাড়া দেয়নি কোয়েস। তাঁরা আলেজান্দ্রোর মতকেই অনুসরণ করে। তখন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় নিজে ফোন করে ম্যাচ খেলার জন্য অনুরোধ করেন কোয়েস সিইও সঞ্জিত সেনকে। কিন্তু, কোয়েস সিইও পালটা নিয়ম কানুনের ব্যাখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইএফএ সচিবের কাছে। আইএফএ সচিব বলেন, বাংলার ফুটবলের স্বার্থে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচটা খেলা উচিত। কোয়েস সিইও জানিয়ে দেন, ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ খেলবে না। লাল-হলুদ কর্তাদের শত অনুরোধেও আলেজান্দ্রোর সিদ্ধান্ত বদলায়নি। ফলে, দল আর কল্যাণী রওনা হয়নি। ঠিক হয়, ওয়াক ওভার দিয়ে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: শতবর্ষের লাল-হলুদের লজ্জার দিন, নেটদুনিয়ায় হাসির খোরাক হল বেহাল মাঠ ]
ইস্টবেঙ্গল না খেলায় তিন পয়েন্ট পেয়ে যাবে কাস্টমস। ফলে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে পিয়ারলেস। অন্যদিকে মোহনবাগান শেষ করবে দ্বিতীয় স্থানে। ইস্টবেঙ্গল শেষ করবে তৃতীয় স্থানে।
The post ফুটবলার ছাড়তে নারাজ আলেজান্দ্রো, শতবর্ষে কালিমালিপ্ত ইস্টবেঙ্গল appeared first on Sangbad Pratidin.