স্টাফ রিপোর্টার: ডার্বির রেশ এখনও কাটেনি। তারই মাঝে এফসিআই-এর বিপক্ষে খেলতে হবে মোহনবাগানকে। আজ শুধু জিতলে হবে না, গোলের সংখ্যাও বাড়িয়ে রাখতে হবে। স্বভাবতই সবুজ-মেরুন শিবিরে থাকছে দু’টো লক্ষ্য। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে শংকরলাল চক্রবর্তী বলছিলেন, “যে জায়গায় এখন আমরা দাঁড়িয়ে আছি সেখানে শুধু জিতলে হবে না, গোলের ব্যবধান বাড়াতে হবে। ফলে ম্যাচটা দু’দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।”
মোহনবাগানের সুবিধে হল, ফরোয়ার্ড লাইন প্রচণ্ড শক্তিশালী। হেনরি-ডিকা দু’জনেই গোলের মধ্যে রয়েছেন। যে কোনও সময় যে কেউ গোল করতে পারেন। যেহেতু গোল সংখ্যা বাড়াতে হবে তাই বুধবার আজহারও প্রথম একাদশে থাকতে পারেন। যদিও কোচ শংকরলাল জোর দিয়ে বলতে পারলেন না, আজহারকে শুরু থেকেই নামাতে পারেন। যেমন শিল্টন পালকে প্রথম একাদশে রাখা নিয়েও স্পষ্ট অভিমত নেই শংকরলালের। “এখনও প্রথম একাদশ কী হবে তা ঠিক করিনি। তবে কুড়ি জনের দলে যে শিল্টন থাকবে এই নিয়েও কোনও দ্বিমত নেই।” বলেই ফেললেন মোহনবাগান কোচ। সবুজ-মেরুন শিবিরে এখন কান পাতলেই শিল্টন পাল সম্পর্কে নানা মন্তব্য ভেসে আসছে। বিশেষ করে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে, শিল্টনের উচিত হয়নি প্রথম গোলটা খাওয়া। এমন সময়ে শিল্টন গোল খান যখন চাপ কাটিয়ে বেরিয়ে আসার সুযোগ পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। তাই ডার্বি ড্র হওয়ার জন্য শিল্টনকে অনেকে তুলে দিচ্ছেন আসামীর কাঠগড়ায়।
[গুরুর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হল না পিন্টুকে]
যদিও মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ তথা ঘরের ছেলে সুব্রত ভট্টাচার্য মনে করছেন, শিল্টন প্রথম গোল খাওয়ার জন্য পুরোপুরি দায়ী নয়। সুব্রতর ধারণা, ডিফেন্ডাররা গোল খাওয়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী। শিল্টনের জায়গায় নামতে পারেন শঙ্কর রায়। মোহনবাগান যখন গোল দেওয়ার জন্য মরিয়া মনোভাব নিয়ে ঝাঁপাতে মরিয়া তখন এফসিআই গোল খাওয়ার জন্য যেন বসে আছে। কোনও বিদেশি নেই। তারওপর দীপক মন্ডলের মতো ডিফেন্ডারও আসছেন না। ৭ ম্যাচ খেলে মাত্র পয়েন্ট তিন। দল নেমেই গিয়েছে। দলের কোচ বিকাশ পাঁজি হতাশার সুরে বলছিলেন, “আমাদের মতো দলের উচিত প্রিমিয়ারের বি গ্রুপে খেলা। দয়া করে লিখে দেবেন, কোনও অফিস দলকে প্রিমিয়ারের মূলপর্বে যেন খেলতে না দেওয়া হয়। আফএফএ-র উচিৎ, অফিস দল উঠলে পরিকাঠামো দেখে যেন খেলার সুযোগ দেয়। ছেলেদের বলেছি, আমাদের জন্য নয়, খেল তোদের জন্য।” মনে হল অসহায় বিকাশ।
[মেহতাবের চোট গুরুতর নয়, আইএফএ কর্তাদের আচরণে ক্ষুব্ধ মোহনবাগান]
এদিকে ফুটবলাররা যখন এফসিআই ম্যাচের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তখন বাগান তাঁবুতে তুঙ্গে স্পনসর জল্পনা। আজ ম্যাচ শুরুর ঠিক আগে সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন সচিব অঞ্জন মিত্র। মনে করা হচ্ছে, এই সাংবাদিক বৈঠকেই মোহনবাগানের নতুন স্পনসরের নাম ঘোষণা করতে পারেন তিনি। স্পনসর হিসেবে একাধিক বহুজাতিক সংস্থার নামও ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
The post এফসিআই-এর বিরুদ্ধে গোল পার্থক্য বাড়ানোর লক্ষ্যে মোহনবাগান appeared first on Sangbad Pratidin.