সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিপিই গাইডলাইন্স থেকে ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেডকে (আইপিজিএল) বাদ দেওয়ার প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন মিলল। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাহাজ মন্ত্রকের আরজি মেনে নেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালের কোম্পানি আইন অনুসারে আইপিজিএল গঠিত হয়েছিল। ইরানের চাবাহারের বন্দর নির্মাণ ও কাজকর্মের জন্য জাহাজ মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন জওহরলাল নেহরু পোর্ট ট্রাস্ট (জেএনপিটি) এবং দীনদয়াল উপাধ্যায় পোর্ট ট্রাস্ট (ডিপিটি – সাবেক কান্দলা পোর্ট ট্রাস্ট)-কে নিয়ে এই সংস্থা গঠিত হয়। কিন্তু জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জিসিপিওএ) থেকে আমেরিকা বেরিয়ে যাওয়ার পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জাহাজমন্ত্রককে পরামর্শ দেওয়া হয়, এর থেকে জেএনপিটি এবং ডিপিটি-কে বাদ দেওয়ার। তাদের শঙ্কা ছিল, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারির প্রভাব পড়তে পারে এই দুই বন্দরে। ২০১৮-তে জেএনপিটি এবং ডিপিটির সমস্ত শেয়ার কিনে নেয় ‘সাগরমালা ডেভলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড’। চাবাহার ভারতের প্রথম বিদেশি বন্দর প্রকল্প। কৌশলগত কারণে এর গুরুত্ব রয়েছে। বোর্ড পরিচালিত সংস্থা হিসাবে আইপিজিএলকে আগামী পাঁচ বছর ডিপিই নির্দেশিকা নয়, জাহাজমন্ত্রক ও বিদেশমন্ত্রকের নির্দেশ মেনে চলার আবেদন করা হয় জাহাজ মন্ত্রকের তরফে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার জাহাজ মন্ত্রকের সেই আবেদন মেনে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইরান ও ভারতের সম্পর্ক বহুদিনের। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় তেল আমদানি বন্ধ করলেও তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রয়েছে নয়াদিল্লির। এই ‘বন্ধুত্ব’ আরও মজবুত করে গত বছরের গোড়ার দিকে ইরান সফরে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেখানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে সে দেশের ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের কাছে ব্যাখ্যাও দেন তিনি। এছাড়া, চাবাহার বন্দরে সহযোগিতা আরও বাড়ানো নিয়েও ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জরিফের সঙ্গে আলোচনা করেন জয়শংকর। চিনকে টেক্কা দিতে ও আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর।
[আরও পড়ুন: ‘শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখুন’, দিল্লির হিংসা নিয়ে দেশবাসীকে বার্তা উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীর]
The post চাবাহার বন্দর নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, এবার কাটবে লাল ফিতের জট appeared first on Sangbad Pratidin.