সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৬ ঘণ্টার সাসপেন্সে ইতি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসলেন জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন। শুক্রবার সওয়া ১২টার সময় রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণ চম্পাইকে শপথবাক্য পাঠ করান।
বুধবার রাতে হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) গ্রেপ্তার হওয়ার পরই থেকে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে সাসপেন্স শুরু হয়। হেমন্তের জায়গায় চম্পাইকে নেতা হিসাবে বেছে নেয় জেএমএম। বুধবার রাতেই চম্পাই রাজভবনে গিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানিয়ে আসেন। বিধায়কদের সমর্থনের চিঠিও জমা দেন। কিন্তু রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণে গড়িমসিতে বৃহস্পতিবার তাঁর শপথ নেওয়া হয়নি। এর মধ্যে আবার শোনা যায় বিজেপি অপারেশন লোটাস চালানোর চেষ্টা করছে। জেএমএমের চার বিধায়ক এর মধ্যে ‘নিখোঁজও’ হয়ে যান।
[আরও পড়ুন: শান্তি রক্ষায় ‘সঙ্গী’, ভারতকে ৩১টি শিকারি ড্রোন বিক্রিতে সায় আমেরিকার]
এদিকে রাজ্যপাল সরকার গঠনের আহ্বান না জানানোয় চম্পাই (Champai Soren) রাতে তাঁর শিবিরের বিধায়কদের তেলেঙ্গানায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু দৃশ্যমানতা কম থাকার অজুহাত দেখিয়ে উড়ান বাতিল করা হয়। এরপর বেশি রাতে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণ চম্পাইকে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে আমন্ত্রণ জানান। সেই মতোই এদিন শপথ নিলেন চম্পাই। দশদিনের মধ্যে তাঁকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলা হয়েছে। এদিন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন একজন কংগ্রেসের এবং একজন আরজেডির বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: ৪৩ বিধায়ককে হায়দরাবাদে সরানোর ছক কষেও ব্যর্থ চম্পাই! শেষ মুহূর্তে বাতিল বিমান]
রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা, চম্পাই শুক্রবার শপথ নেওয়ার পরেও গেরুয়া শিবির ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বিধানসভায় আস্থাভোটে চম্পাইকে পরাস্ত করে বিজেপি সরকার গঠনের দিকে যেতে পারে। যদিও চম্পাই শিবিরের দাবি সরকারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। তাঁদের হাতে অন্তত ৪৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।
এদিকে চম্পাই যেদিন শপথ নিলেন সেদিনও ঝাড়খণ্ডে ইডির তৎপরতা নিয়ে সরব বিরোধীরা। ঝাড়খণ্ডে ইডির বাড়বাড়ন্তের অভিযোগে লোকসভায় ওয়াকআউট করেছেন ইন্ডিয়ার সাংসদরা।