সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যা কবলিত বাংলাদেশ। দুর্যোগের মেঘ যেন কিছুতেই কাটতে চাইছে না পদ্মাপারের দেশে! প্রথমে নৈরাজ্য, তার পর অন্তবর্তী সরকার গঠন হওয়ার পর এবার বানভাসি বাংলাদেশ (Bangladesh Flood )। যদিও এই পরিস্থিতির জেরে ভারতকেই দোষারোপ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এমতাবস্থাতেই বন্যা কবলিত এলাকার দুর্গতদের সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Chowdhury)।
একাধিক হেল্পলাইনের নম্বর শেয়ার করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সাধ্যমতোও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আর্জি জানান অভিনেতা। তবে চঞ্চলের এহেন সাহায্য প্রার্থনা অনেকেই ভালো চোখে নিতে নারাজ। তাঁদের প্রশ্ন, বাংলাদেশের অচলায়তন পরিস্থিতিতে কেন মুখ খোলেননি তিনি? বৃহস্পতিবার সোশাল মিডিয়ায় চঞ্চল চৌধুরী লেখেন, "আসুন, আমরা সবাই বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াই।" পোস্টের নীচে আশ্রয়কেন্দ্রের ঠিকানা-সহ তালিকাও পোস্ট করেছেন। সঙ্গে বাড়িতে শুকনো খাবার, জল ইত্যাদি মজুত রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি লেখেন, "সকলে সাবধান থাকুন, আবহাওয়া খুবই খারাপ। জলবদ্ধতা বেশি হলে আশ্রয়কেন্দ্রে উপস্থিত হোন। বাড়িতে অবস্থান করতে পারলে, প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, জল, স্যালাইন, মোম মজুত রাখুন। পারলে পাশের আশ্রয় কেন্দ্রে ও প্রতিবেশীদের শুকনো খাবার দিয়ে সাহায্য করুন।" চঞ্চলের এই ইতিবাচক পোস্টে নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: একাধিক ধর্ষণের হুমকি! মিমি চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুলিশ?]
কারও কটাক্ষ, 'আপনাকে পাশে দাঁড়াতে হবে না। আমরাই যথেষ্ট। গুলি খাচ্ছিলাম যখন, তখন তো পাশে দাঁড়ানোর কথা মনে ছিল না, এখন মায়া কান্না দেখাতে এসেছেন।' আবার কেউ কেউ 'সুবিধেবাদী' বলেও তোপ দেগেছেন। প্রসঙ্গত, ভারী বর্ষণের জেরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের ফেনী জেলাতে। প্লাবিত আরও অন্যান্য জেলা। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে কুমিল্লার গোমতী নদী। বন্যার জেরে পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়ার দেড় লক্ষের উপর মানুষ এখন সম্পূর্ণ গৃহবন্দি। দুর্গতদের সাহায্যের জন্য নেমেছে দমকলবাহিনী ও উদ্ধারকারী দল। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে মোট ২৭টি স্থান দিয়ে লোকালয়ে জল প্রবেশ করে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। যত সময় যাচ্ছে বন্যার জল বেড়েই চলেছে। ফেনী-সিলোনিয়া রাস্তায় ২ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত জল রয়েছে।