সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের (Chandigarh University) ছাত্রীদের গোপন ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। স্নানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার কথা অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি উঠে এসেছে বলে দাবি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই দাবি ভুয়ো বলে দাবি করেছে পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।
চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় প্রো চ্যান্সেলর ড. আর এস বাওয়া বলেন, “৬০ জন পড়ুয়ার এমএমএস ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত ছাত্রী নিজের গোপন ভিডিও রেকর্ড করেছিল। সেই ভিডিও নিজের প্রেমিককে পাঠিয়েছিল। অন্য কারোর গোপন ভিডিও রেকর্ড করা হয়নি।”
[আরও পড়ুন: পুজোর পরই নয়া জনসংযোগ কর্মসূচি তৃণমূলের! রুটিন মেনে জেলায় জেলায় যাবেন রাজ্য নেতারা]
পুলিশের তরফেও এমনই দাবি করা হয়েছে। মোহালির এসএসপি বিবেক সোনি জানান, একটি মাত্র ভিডিও পাওয়া গিয়েছিল। অভিযুক্ত ছাত্রীটি নিজের গোপন ভিডিও প্রেমিককে পাঠিয়েছিলেন। একইসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি মানতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি, অভিযোগটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাই এধরনের কথা বলা হচ্ছে। অভিযোগটি সত্যি নাকি গুজব, তা জানতে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে আক্রান্ত কর্মীদের বাড়িতে বঙ্গ BJP’র পর্যবেক্ষক, ‘পরিযায়ী পাখি’ বলে কটাক্ষ তৃণমূলের]
অভিযুক্ত ছাত্রী লুকিয়ে লুকিয়ে মেয়েদের স্নানের দৃশ্য রেকর্ড করতেন বলে অভিযোগ। তারপর সেই ভিডিও হিমাচল প্রদেশের শিমলার বাসিন্দা এক বন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হত। সেখানে এমএমএস বানিয়ে ওই ভিডিও নেটমাধ্যমে আপলোড করে দেওয়া হত। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। শনিবার রাতে উত্তাল হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিক্ষোভ চলাকালীন জ্ঞান হারান এক ছাত্রী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অভিযোগ, স্নানের দৃশ্য ভাইরাল হওয়ার লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই ছাত্রী। যদিও পুলিশ সে কথা মানতে চায়নি।