সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু ঘিরে শোরগোল তুঙ্গে। ল্যাব রিপোর্টে বলা হয়েছে, লাড্ডুতে পাওয়া গিয়েছে গরুর চর্বি, মাছের তেল! আগেই চন্দ্রবাবু নাইডু তোপ দেগেছিলেন আগের ওয়াইএসআর কংগ্রেস সরকারকে। রিপোর্টও সেই দাবিকে মান্যতা দিচ্ছে। গত বছর লাড্ডু তৈরিতে বিখ্যাত নন্দিনী ব্র্যান্ডের ঘি ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছিল। সেই সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল এই সিদ্ধান্ত নিয়ে। লাড্ডু বিতর্ক নতুন করে উঠতে শুরু করার পর থেকেই ফের এই বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসছে।
গত বছরের আগস্টে জানা যায়, তিরুপতি বালাজি মন্দিরে আর সরবরাহ করা হবে না নন্দিনী ব্র্যান্ডের ঘি। কর্নাটকের মিল্ক ফেডারেশনের চেয়ারম্যান জানিয়ে দেন, লাড্ডুর জন্য ওই ঘি তাঁদের পক্ষে আর সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।
সেই সময়ই টেন্ডার ডাকা হয় ঘি সরবরাহের জন্য। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ৫ লক্ষ কেজি ঘি কেনা হয় মন্দিরের তরফে। প্রতিদিন সাড়ে ৩ লক্ষ লাড্ডু তৈরি হয় মন্দিরে। একেকটির দাম পড়ে যায় ৪০ টাকা। দৈনিক ৪০০-৫০০ কেজি ঘিয়ের পাশাপাশি ৭৫০ কেজি কাজু, ৫০০ কিশমিশ, ২০০ কেজি এলাচ লাগে। প্রতি ৬ মাস অন্তর টেন্ডার ডাকা হলেও নন্দিনী ঘিই লাড্ডু তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছিল ১৫ বছর ধরে। কিন্তু দাম বেড়ে গিয়েছে, এই কারণ দেখিয়ে তা ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় জগনমোহন রেড্ডির নেতৃত্বীধীন সরকার। এবছরের আগস্ট থেকে অবশ্য ফের এই বিখ্যাত ব্র্যান্ডের ঘিই কেনা হচ্ছে। চন্দ্রবাবু নাইডু ক্ষমতায় আসার পরই বদলে দেওয়া হয়েছে ঘিয়ের ব্র্যান্ড।
এই পরিস্থিতিতে অভিযোগের আঙুল উঠেছে, নন্দিনী ব্র্যান্ডকে সরানোর পর যারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল সেই সংস্থাগুলির দিকে। গত বুধবার চন্দ্রবাবু অভিযোগ করেন, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের শাসনকালে লাড্ডুতে পশুর চর্বি ব্যবহার করা হত। ব্যবহার করা হত মাছের তেল। কিন্তু তিনি ক্ষমতায় আসার পর পরিবর্তন করে খাঁটি ঘি দিয়ে তৈরি হচ্ছে শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু। এহেন অভিযোগের পরই শোরগোল পড়ে যায়। বিদ্বেষের কারণেই এমন মন্তব্য করা হচ্ছে দাবি করে রাজ্যের ভূতপূর্ব শাসক দল। এই পরিস্থিতিতে সামনে এল ল্যাব রিপোর্ট। এদিকে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা চন্দ্রবাবুর কাছ থেকে প্রসাদী লাড্ডুর বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন।