সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের নাম ইন্ডিয়া (India) থেকে পালটে ভারত (Bharat) করা হবে। বেশ কয়েকদিন ধরেই তুঙ্গে উঠেছে এই জল্পনা। তার মধ্যেই উঠে আসছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। দেশের নাম বদল হলে কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে হবে, তার হিসাব উঠে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্ডিয়া থেকে ভারত হয়ে গেলে দেশের কোষাগার থেকে অন্তত ১৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে। তবে খরচের অঙ্ক আলাদাও হতে পারে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের নাম বদলের ঘটনা এই প্রথম নয়। ভারতের প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা ১৯৭২ সালে সিলন নামটি বাতিল করে নতুন নাম চালু করে। ২০১৮ সালে ঔপনিবেশিকতা থেকে বেরনোর জন্য আফ্রিকান রাষ্ট্র সোয়াজিল্যান্ড নিজেদের নাম পালটে রাখে এসয়াতিনি। সেই সময়েই কাজ করেন ভ্লগার ড্যারেন অলিভিয়ের। ভারতের নাম বদলের আলোচনা শুরু হতেই তিনি একটি হিসাব প্রকাশ্য়ে এনেছেন। সোয়াজিল্যান্ডের নাম বদলের সময়ে যে মডেল অনুযায়ী কাজ করেছিলেন তিনি, সেই অনুযায়ীই ভারতের নামবদলের খরচের হিসাব দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘যা হবে সংবিধান মেনেই’, ‘এক দেশ, এক ভোট’ জল্পনার মধ্যে মুখ খুললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার]
তাঁর তত্ত্ব অনুযায়ী, একটি ব্র্যান্ডের গড় মার্কেটিং তার লভ্যাংশের ৬ শতাংশ। এহেন পরিস্থিতিতে সেই ব্র্যান্ড যদি নতুন করে নিজের পরিচয় গড়ে তুলতে চায়, তাহলে এই খরচের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১০ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ মাসের শেষে ইন্ডিয়ার লাভের পরিমাণ ছিল ২৩.৮৪ লক্ষ কোটি। তাই এহেন পরিস্থিতিতে যদি দেশের নাম বদল করা হয় তাহলে দেশের মার্কেটিং খরচ হবে ১৪ হাজার ৩৪ কোটি টাকা।
অনেকে রাজনীতিবিদদেরই দাবি, আন্তর্জাতিক মহলে ‘ইন্ডিয়া’ হিসাবেই দেশের পরিচিতি রয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor) বলেন, সংবিধান অনুসারে তো দেশকে ভারত নামে অভিহিত করায় কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া হিসাবেই দেশের পরিচিতি গড়ে উঠেছে। তাই বিশ্বের দরবারে দেশের যে নাম পরিচিত, সেটাই ব্যবহার করা দরকার। পাশাপাশি দু’টি নামই ব্যবহার করা যেতেই পারে।