সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিনের সক্রিয় দলীয় নেতাকে পদ থেকে অপসারণের প্রতিবাদ। রবিবার দুপুরে রাজ্য বিজেপির (BJP) সদর কার্যালয়ের সামনে তুমুল বিক্ষোভ কর্মীদের। হেস্টিংসের অফিসে এসে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে রবিবার দুপুরে এ নিয়ে বেশ অশান্তি ছড়িয়ে পড়ল বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরের সামনে।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ একাধিক বিজেপি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব সামলেছেন শুভঙ্কর দত্ত মজুমদার নামে এক নেতা। জনপ্রিয়ও ছিলেন তিনি। কিন্তু একুশের ভোটের আগে আচমকাই তাঁকে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দলের সাধারণ কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। আর তা জেনেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দলীয় কর্মীরা। তাঁদের দাবি, শুভঙ্কর দত্ত মজুমদারের মতো নেতারা দলের জন্য উপযুক্ত। তাঁর নেতৃত্বে সংগঠন অনেক মজবুত হয়ে উঠেছে। তাই একুশের ভোটের আগে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত দলের সাধারণ কর্মীরা কিছুতেই সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না। রবিবার শুভঙ্কর দত্ত মজুমদারের ছবি দেওয়া হোর্ডিং নিয়ে হেস্টিংসে বিজেপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান শয়ে শয়ে দলীয় কর্মীরা। বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশকেও বেশ বেগ পেতে হয়। শেষমেশ বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এ নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভের আঁচ খানিকটা কমেছে।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় ১৮ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করল STF, গ্রেপ্তার মহিলা-সহ পাঁচ]
শনিবারই শোনা গিয়েছিল, বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠনে সামান্যতম রদবদল করতে হলে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতি নেওয়া অবশ্য প্রয়োজন। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীদের জানিয়ে তবেই কোনও পরিবর্তন করা যাবে। এই মর্মে রীতিমতো নির্দেশিকা জারি হয়। তবে শুভঙ্কর দত্ত মজুমদারকে পদ থেকে অপসারণ দিলীপ ঘোষদেরই সিদ্ধান্ত ছিল কি না, তা জানা যায়নি। সে যাই হোক, দলীয় কর্মীদের দাবি মেনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দক্ষ সাংগঠনিক নেতাকে পদে ফেরানো হবে কি না, তা নিয়ে এখন তুমুল আগ্রহ। এ নিয়ে চূড়ান্ত কোনও ঘোষণা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় বিজেপি কার্যালয়ের সামনেই অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মীরা।