চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: মঞ্চে তখন শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কীভাবে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের জন্য কৃষকদের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে, সেই পরিসংখ্যানই তুলে ধরছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর মন্তব্যে হঠাৎই তাল কাটে। সভায় উপস্থিত আমজনতা হঠাৎই নিজেদের জায়গা ছেড়ে উঠে পড়েন। চারদিক থেকে গন্ডগোলের আওয়াজ ভেসে আসে। বিজেপির দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবেই এই বিরাট জনসভা ভণ্ডুল করার চেষ্টা করা হয়েছে। ভয় পেয়েই তৃণমূল এসব করছে বলেও তোপ দাগেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্য পেশ করার মাঝেই আচমকা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। আমজনতাকে বিচলিত হতে দেখে প্রথমে খানিকটা অবাকই হন তিনি। ঠিক কী হল, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। বিজেপি নেতা মঞ্চে দাঁড়িয়েই প্রশ্ন করতে থাকেন কী হয়েছে? ঠিক সেই সময়ই এগিয়ে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। গন্ডগোলের কারণ তখনও স্পষ্ট হয়নি। মাইকে ক্রমাগত জনতার উদ্দেশে বলা হয়, ‘কিছু হয়নি। শান্ত হয়ে বসুন।’ স্লোগানে গলা মেলানোর আহ্বানও জানানো হয়। কিন্তু বিশৃঙ্খলা যে তখনও থামেনি, তা ঝিমিয়ে পড়া স্লোগানেই স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপরই বিজেপি অভিযোগ তোলে, ইচ্ছা করেই সভা ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: ফেসবুক পোস্টে পিকে’র প্রশংসা, তুঙ্গে বিজেপি নেতা পরেশচন্দ্র দাসের দলবদলের জল্পনা]
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলে দেন, জনতার ভিড় দেখে ভয় পেয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। সেই কারণেই সভা ভণ্ডুল করার চেষ্টা করছে। এরপরই যোগ করেন, “কিন্তু আপনারা যে সভায় শৃঙ্খলা বজায় রেখেছেন, তৃণমূলের উদ্দেশ্য পূরণ হতে দেননি, এর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।” একই দাবি তুলে উপস্থিত সকলকে শুভেন্দু বলেন, “ভয় পাবেন না। আমায় বিশ্বাস করেন তো? সিপিএমকে সরিয়েছি তো?” এবার বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার অঙ্গীকারও করেন তৃণমূল থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া নেতা।
কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল সে সময় জনসভায়? জানা গিয়েছে, বসা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন অনেকে। সেখান থেকই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। তবে তা ইচ্ছাকৃতভাবেই করা বলে দাবি পদ্ম শিবিরের (BJP)।