সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত কাণ্ড উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যোগীরাজ্যে বেনজির অব্যবস্থা। অভিযোগ, বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর যাতায়াতের জন্য কোনও ব্যবস্থাই করেনি সে রাজ্যের প্রশাসন। তার ফলে বেকার যুবক এবং স্থানীয় নিত্যযাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
গত শনি ও রবিবার উত্তরপ্রদেশ সাবঅর্ডিনেট সার্ভিসেস সিলেকশন কমিশনের (UPSSSC) গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষা ছিল। কমপক্ষে ৩৭ লক্ষ ৫৮ হাজার বেকার যুবক নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন জমা দেন। শনি এবং রবিবার মোট দু’টি সময়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। কেউ কেউ পরীক্ষা দেন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত। আবার কারও কারও পরীক্ষা ছিল বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শনিবার প্রথম এবং দ্বিতীয় স্লটে যথাক্রমে ৬৬ এবং ৬৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: চিৎকারের ‘শাস্তি’, উত্তরপ্রদেশে ইটের আঘাতে সারমেয়কে খুন করে গ্রেপ্তার যুবক]
রাত থেকে দূরবর্তী জেলারা চাকরিপ্রার্থীরা বিভিন্ন বাস টার্মিনাস, স্টেশনে ভিড় জমাতে শুরু করেন। লখনউ, কানপুর, সীতাপুর জংশন-সহ একাধিক স্টেশনে পা দেওয়ার জায়গা ছিল না। উত্তরপ্রদেশের বেশিরভাগ বাস টার্মিনাসও চাকরিপ্রার্থীদের ভিড়ে ঠাসা ছিল। কার্যত তিলধারণের জায়গাও ছিল না প্রয়াগরাজ স্টেশনে। ভিড়ের ছবি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, কত সংখ্যক পরীক্ষার্থী উত্তরপ্রদেশে আসতে পারে, তা আগেই জানা ছিল প্রশাসনের। তা সত্ত্বেও অতিরিক্ত বাস কিংবা ট্রেনের বন্দোবস্ক করা হয়নি। সে কারণে ট্রেনে, বাসে ব্যাপক ভিড় হয়। যার ফলে অনেকেই ট্রেনে, বাসে উঠতে পারেননি। সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রেও পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। চাকরিপ্রার্থীদের ভিড়ের জেরে গন্তব্যে পৌঁছতে কার্যত কালঘাম ছোটে স্থানীয়দের।
এই অব্যবস্থা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চলছে জোর আলোচনা। বিরোধীদের দাবি, আদতে উত্তরপ্রদেশ সরকার চাইই না সকলে পরীক্ষায় বসুক। সে কারণে পরীক্ষার্থীদের জন্য কোনও বন্দোবস্ত করা হয়নি। তবে এই প্রসঙ্গে একটি শব্দও খরচ করেননি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।