সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চূড়ান্ত অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হল শহর চেন্নাই (Chennai)। মায়ের অনুমতিতে তাঁর প্রেমিকের লালসার শিকার হল নাবালিকা মেয়ে। দিনের পর দিন ধর্ষণের (Rape) পর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে নাবালিকা। সন্তান প্রসবের সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রকাশ্যে আসে ঘটনা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মা ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে পকসো (Pocso) আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় দিনমজুর ৩৮ বছরে মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তির। মা ও নাবালিকা মেয়ের সংসারে নিত্য যাতায়াত ছিল ওই ব্যক্তির। হঠাৎই সে জানায় মহিলাকে নয় একাদশ শ্রেণির ছাত্রী নাবালিকাকে বিয়ে করতে চায়। এরপর দীর্ঘদিন ধরে মায়ের অনুমতিতে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করে চলে সে। এদিকে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাঁর স্কুলে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় মহিলা। লোকচক্ষুর ভয়ে তড়িঘড়ি বছর পঞ্চাশের ওই প্রেমিকের সঙ্গেই বিয়ে দেয় মেয়ের।
[আরও পড়ুন: দিল্লি অগ্নিকাণ্ড: ঘটনাস্থলে কেজরিওয়াল, মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা]
তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ১ মে নাবালিকার প্রসবযন্ত্রণা ওঠে। অভিযুক্ত মহিলা বাথরুমে সন্তান প্রসব করান। কিন্তু নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর ফলেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয় নাবালিকাকে। হাসপাতাল কর্মীরা তার আধার কার্ড চাইতে দেখা যায় বয়স আঠারোর কম। রাজ্যের শিশুকল্যাণ বিভাগ এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়। সেই সময়ই পুরো ঘটনা সামনে আসে। যার পর অভিযুক্ত মা ও তাঁর প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বন্ধ ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’, চাকরি ছাড়লেন এই সংস্থার ৮০০ কর্মী]
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনে দেশে একাধিক ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। এমনকী উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়ে পুলিশের হাতে এক তরুণী ধর্ষিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে একাধিক ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন পরিবারের লোকেরাই। বিহারের এক তরুণী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে বাবার কুকীর্তি ফাঁস করে দিয়েছিলেন। এই ধর্ষিতাদের মধ্যে অনেকেই নাবালিকা। গোটা বিষয়ে চিন্তিত সমাজ বিজ্ঞানী থেকে মনস্তত্ত্ববিদরা।