সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে তুঘলকি বলে রে রে করে উঠেছে বিরোধীরা৷ দল ও দেশের উপর স্বৈরতন্ত্র জারি করেছেন বলেও অভিযোগ৷ এমনকী কেন্দ্রে বোবা-কালার সরকার চলছে বলেও আসছে খোঁচা৷ কিন্তু কোনও বিরুদ্ধমতই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তাতে ভাগ বসাতে পারেনি৷ সম্প্রতি তা টের পেলেন লেখক চেতন ভগত৷
৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে অনেকেই অসংবিধানিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন৷ সাধারণ মানুষের ভোগান্তিকে হাতিয়ার করে জাতীয় রাজনীতিতে সরব বিরোধীরা৷ কিন্তু এ মধ্যেই আশ্চর্য সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছে জনতা৷ সমস্ত ভোগান্তি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর পাশেই থেকেছে আম জনতা৷ কেননা দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার যে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি, তাতে পুরোপুরি সায় আছে সাধারণ মানুষের৷ এর আগেও একাধিক সমীক্ষায় স্পষ্ট হয়েছে সে ছবি৷ নোট বাতিলের পর থেকে প্রায় ৫০ দিন পেরতে চলেছে৷ পরিস্থিতির চাপে পড়ে একাধিকবার সিদ্ধান্ত বদলে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক৷ তাতে সাময়িক হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে আম আদমিকে৷ কিন্তু সহিষ্ণুতা বিন্দুমাত্র টলেনি৷ সম্প্রতি তা বুঝতে পারলেন লেখক চেতন ভগত৷ টুইটার পোলে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, মোদিকে নেতা রাখতে গিয়ে যদি গণতন্ত্রে সমঝোতা করতে হয়, তবে কি মানুষ রাজি হবেন৷ দেখা গিয়েছে, ৫৫ শতাংশ মানুষ নেতা মোদিকেই দেখতে চেয়েছেন৷ এবার আরও খোলসা করে তিনি প্রশ্ন রেখেছিলেন, ধরা যাক, মোদি দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হল, তাহলেও কি মানুষ মোদির পাশে থাকবেন? এবারের উত্তরও চমকে দেওয়ার মতো৷ ৫৭ শতাংশ মানুষ সায় দিয়ে জানিয়েছেন মোদিকেই সমর্থন করবেন তাঁরা৷
নোট বাতিলের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ৫০ দিন সময় চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ তা শেষ হওয়ার মুখে৷ কাজেই বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোদিকে কোণঠাসা করতে কোমর বেঁধেছে৷ কিন্তু দেখা গেল সাধারণ মানুষের তাতে কোনও হেলদোল নেই৷ হাজার ভোগান্তিতেও মোদির জনপ্রিয়তাতে টোল খায়নি৷
The post প্রধানমন্ত্রী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলে কি পাশে থাকবে জনতা? appeared first on Sangbad Pratidin.